ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

এই সরকার বিদেশি শক্তির প্রভাবে ক্ষমতায় এসেছে: সাকি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪
এই সরকার বিদেশি শক্তির প্রভাবে ক্ষমতায় এসেছে: সাকি

ঢাকা: গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নয়, বরং বিদেশি শক্তির প্রভাবে ক্ষমতায় এসেছে। তাই চলমান মিয়ানমার সংকট সমাধান করতে সরকার চীন-ভারতের সহায়তা চাইছে।

 

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত কাগমারী সম্মেলন ও স্বাধীন বাংলাদেশ- শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।  

সাকি বলেন, আজ বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা নেই। সরকার কী অবস্থান নিচ্ছে, এ নিয়ে আমরা আশ্বস্ত হওয়ার মতো কিছু জানতে পারছি না। জনগণকে তারা পাত্তা দেয় না। ক্ষমতার উৎস হিসেবে জনগণ আর নেই। ক্ষমতার উৎস যারা, সেই বিদেশিদের সঙ্গে তারা আলোচনা করছেন।

সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে নাগরিকদের বিভক্ত করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশ ইতোমধ্যে একটি গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতিতে আছে। দেশের সব রাজনৈতিক দলকে হাস্যকর বিষয়ে পরিণত করা হয়েছে।  

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কয়েকদিন আগে বাংলাদেশকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিয়েছেন চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে দেওয়ার জন্য। অথচ আমরা এ সম্পর্কে কিছু জানি না, আমাদের দেশের পত্র-পত্রিকায় এ সম্পর্কে কিছু লেখা হয়নি। পরে সাংবাদিকরা যখন পররাষ্ট্র সচিবকে জিজ্ঞেস করেন, তখন তিনি বলেন এটা তো অনেক আগেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বন্দর অন্য কাউকে দিয়ে দিয়েছে, কিন্তু আমরা জানি না!

তিনি বলেন, আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। বাংলাদেশের বাস্তবতা, ভূ-রাজনীতি, বিশ্বের পরিস্থিতিতে আমাদের নিজের মতো লড়াই করতে হবে। মানুষ ৭ তারিখের ভোট বর্জন করেছে। আওয়ামী লীগ আমাদের বলে, জনগণ আপনাদের সঙ্গে নেই। আমি বলি, জনগণ আমাদের সঙ্গেই আছে, আপনাদের সঙ্গে নেই। যারা আওয়ামী লীগ করে, তারাও ভোট দেয়নি।

মিয়ানমার ইস্যুতে সরকার ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, মিয়ানমারের এ অবস্থায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন পরাশক্তির অর্থনৈতিক এজেন্ডা মিলিত হওয়ায় এ অঞ্চলে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে কি না, এ বিষয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা উচিত। মানুষকে জানতে হবে এখানে কী ঘটছে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ আজ সরাসরি জনগণের ভোটের অধিকারের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের মৃত্যু ঘটেছে।  

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, মওলানা ভাসানীকে সমাজ পরিবর্তনের কাজে আমরা যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারিনি। তিনি জাতীয় মুক্তির যে চেতনা দেখিয়েছিলেন, আমরা সেটাকে সঠিক দিকে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়েছি। জাতীয় সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণের প্রশ্নটি নতুন করে আসছে। সুষম সমন্বয়ের মাধ্যমে আগামীতে এটি সামনের দিকে এগিয়ে নিতে না পারলে আমরা আবারও একই ভুল করব।  

ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইসমাইল সভাপতিত্বে  সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজুসহ আরও অনেকে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪
এনবি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।