ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মাদারীপুরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ৮

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪
মাদারীপুরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ৮

মাদারীপুর: মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন এক পুলিশ সদস্যসহ অন্তত সাতজন।

 

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহরের ইটেরপুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পুরো শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।  

গুলিবিদ্ধ সোহাগ তালুকদার (৩০) শহরের হরিকুমারিয়া এলাকার দেলোয়ার তালুকদারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ইজিবাইকচালক।  

আহত পুলিশ সদস্য রাজিবকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাজীব সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দেহরক্ষী।

জানা গেছে, রোববার দুপুরে মাদারীপুর আদালত প্রাঙ্গণে আগের মামলার কাজে যান ছাত্রলীগ নেতা সজীব সরদার ও সুমন কাজী গ্রুপের লোকজন। দুটি পক্ষ আদালত প্রাঙ্গণে মুখোমুখি হওয়ায় তাদের মধ্যে প্রথমে তর্ক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শহরের ইটেরপুল এলাকায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি ককটেলের  বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে যাত্রী ও পথচারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। খবর পেয়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ইজিবাইকচালক সোহাগ তালুকদার গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া আহত হন পুলিশ সদস্যসহ সাতজন। আহতদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে জেলা সদর হাসপাতালে।  

আহত সোহাগ তালুকদারের স্ত্রী মাকসুদা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে আমার স্বামী বাসা থেকে বের হয়েছিল। এসময় সে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যায়। পরে সে গুলিবিদ্ধ হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী এক দোকানদার জানান, দুটি পক্ষ ককটেল ফাটিয়ে সংঘর্ষ করে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ভয়ে দোকান বন্ধ করে রেখেছিলাম। তাদের হাতে বড় বড় ধারালো অস্ত্র ছিল, কাছাকাছি থেকেও পুলিশ অসহায় ছিল।

মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াদ মাহমুদ জানান, হাসপাতালে কয়েকজন ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে এক পুলিশ সদস্য ও এক ইজিবাইকচালকও রয়েছেন। ইজিবাইক চালকের মাথায় গুলি লেগেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি এএইচএম সালাউদ্দিন জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষে সাত-আটজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এক পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

সজীব সরদার মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। আর সুমন কাজী সহ-সভাপতি। সজীব মাদারীপুর-০২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের অনুসারী। অপরদিকে সুমন ঢাকা-০৮ আসনের সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন নাছিমের সমর্থক।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।