ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ইতিহাস বিকৃতিকারী অপরাধীদের চিহ্নিত করা সময়ের দাবী: পরওয়ার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪
ইতিহাস বিকৃতিকারী অপরাধীদের চিহ্নিত করা সময়ের দাবী: পরওয়ার

ঢাকা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে সঠিকভাবে সামনে আসতে দেওয়া হয়নি। বারবার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, ইতিহাস ছিনতাই করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ইতিহাস বিকৃতিকারী অপরাধীদের চিহ্নিত করা সময়ের দাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফ্যাসিবাদী কর্তৃত্ববাদী সরকার আমাদের সমস্ত অধিকারের টুটি চেপে ধরে অধিকারকে পদদলিত করতে চায়। ভাষা আন্দোলনের শিক্ষাকে ধারণ করে, দেশ প্রেমে উজ্জীবিত হয়ে সমস্ত জুলুম অত্যাচার, কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে অকুতোভয় ও নির্ভীকভাবে আন্দোলন এগিয়ে নিতে হবে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর স্থানীয় মিলনায়তনে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আবদুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন ও কামাল হোসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন, ড. মোবারক হোসাইন, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য আবদুস সালাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

গোলাম পরওয়ার বলেন, সাহসী, দেশপ্রেমিক, বীর পুরুষদের ঐতিহাসিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় সাফল্যের গৌরব গাথার দিন ২১শে ফেব্রুয়ারি, ভাষা আন্দোলনের দিন। যেকোনো জাতির সভ্যতা নির্মাণে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, দেশপ্রেমিক সাহসী পুরুষরা ইতিহাস রচনা করে যায়। ভাষার জন্য যারা সংগ্রাম করেছেন, তাদের প্রায় সকলেই ছিলেন মুসলিম ছাত্রনেতা। অধ্যাপক গোলাম আযম, প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম, দেওয়ান মুহাম্মদ আজরফ, নুরুল হক ভুইয়া, মওলানা আকরাম খান তারা সবাই মুসলিম ছিলেন। পরবর্তীতে কিছু ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদী বিদেশি মতবাদের ধারক-বাহকরা আন্দোলনের মধ্যে ঘাপটি মেরে, এই আন্দোলনকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। এমনকি ভাষা আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছিলেন, তারা সবাই মুসলমান ছিলেন। তাদের স্মরণতো তাদের সংস্কৃতিতেই তা পালিত হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা না করে অপসংস্কৃতি আমদানি করে, ইসলামী আকিদা বিরোধী ধারা তৈরি করে, তাদের স্মরণ করার ধারা চলছে। যার সাথে শিরক জড়িত।

যুগে যুগে এমন কিছু লোক আন্দোলনের মাঝখানে এসে হানা দেয়, ইতিহাস বিকৃত করে এবং নিজেরা নিজেদের স্বার্থে, দলীয় কোটারী স্বার্থে একটা সত্য আন্দোলনকে বিপথে ধাবিত করে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪
টিএ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।