ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

শাবিপ্রবির কমিটি গঠনে বিতর্কিতদের বাদ দিতে চায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৪
শাবিপ্রবির কমিটি গঠনে বিতর্কিতদের বাদ দিতে চায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ

শাবিপ্রবি (সিলেট): ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ইস্যুতে বিতর্কিত, অছাত্র, অনুপ্রবেশকারী ও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বাদ দিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ইউনিট ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠন করতে চায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

সোমবার (১৮ মার্চ) শাবি প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার শাবি ছাত্রলীগ ইউনিটের কর্মীসভা উপলক্ষে পূর্ব প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করতে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।  

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মো. রিপন মিয়া, উপ তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নাজমুস সাকিব, উপ-অটিজম বিষয়ক সম্পাদক মো. ফাহিম চৌধুরী ও সদস্য ইমতিয়াজ রাব্বি। এরমধ্যে রিপন মিয়া ও নাজমুস সাকিব শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে রয়েছেন।

সহ-সভাপতি মো. রিপন মিয়া বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সবসময় সংগঠনের গঠনতন্ত্রের আলোকে যোগ্য, সৎ, মেধাবী, শিক্ষার্থী বান্ধব ও ক্লিন ইমেজধারী এমন কর্মীদেরকে কমিটিতে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটবে না। আমরা চাই যারা দীর্ঘদিন ধরে এ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের জন্য ত্যাগস্বীকার করেছেন, সংগঠনের জন্য নিবেদিত ছিল এমন কর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে।

পদ প্রত্যাশী নেতাদের সংগঠন বহির্ভূত কর্মকাণ্ড নিয়ে তিনি বলেন, পদপ্রত্যাশী যারা নেতাকর্মী আছে তাদের কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে আমরা তা খতিয়ে দেখব। এসব ঘটনার যথাযথ কারণ জেনে প্রকৃত সত্যতা যাচাই-বাছাই করে কমিটিতে পদ দেওয়া হবে।  

তবে কোনো অছাত্র, অনুপ্রবেশকারী, বিতর্কিত কিংবা মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছে এমন কাউকে কমিটিতে স্থান দেওয়া হবে না। কারণ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বিতর্কিতদের দিয়ে কমিটি গঠন করে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করবে না। এক্ষেত্রে যেকেউ বর্তমান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্বাহী সংসদের উপর আস্থা রাখতে পারবে।

কমিটি গঠন ও ছাত্রত্ব নিয়ে জানতে চাইলে উপ তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নাজমুস সাকিব বলেন, এবার যারা পদ প্রত্যাশী আছে, জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছে তাদের ছাত্রত্ব আছে কিনা তা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের আলোকে নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। প্রশাসন যাদের ছাত্রত্ব আছে বলবে, তাদেরকে ছাত্র হিসেবে গণ্য করে কমিটিতে আনা হবে। বর্তমান কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ সব মহলকে সঙ্গে নিয়ে তাদের পরামর্শের ভিত্তিতে শাবি শাখা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করতে চায়। এক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।

তিনি বলেন, বর্তমান কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদে দায়িত্ব নেওয়ার পর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের কমিটি গঠন করেছে। এর মধ্যে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে এসব কমিটিতে কোন বিতর্কিতদের স্থান দেওয়া হয়নি। আশাকরি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটবে না।  

দীর্ঘদিন এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শাবিতে ছাত্রলীগের কমিটি নেই। যার ফলে সাংগঠনিক গতিশীলতা না থাকায় অনেক সময় বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। তাই সবকিছু যাচাই-বাছাই করে বিতর্ককে ঊর্ধ্বে রেখে তরুণ, যোগ্য, মেধাবী ও শিক্ষার্থী বান্ধব কর্মী দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কমিটি গঠন করা হবে।

কর্মী সম্মেলন নিয়ে তিনি বলেন, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে কর্মীসভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সঞ্চালনায় থাকবেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের বিভিন্ন পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধি, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ  উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এই সম্মেলনকে সফল করতে সাংবাদিকবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৪

এমএম
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।