ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

প্রতীক নিয়ে মাঠে বিএনপির ৬ প্রার্থী, ৩ জনকে শোকজ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
প্রতীক নিয়ে মাঠে বিএনপির ৬ প্রার্থী, ৩ জনকে শোকজ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের অনুষ্ঠেয় প্রথম ধাপের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বিএনপির ছয় প্রার্থী। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে জামায়াতের প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন আগেই প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

আর বিএনপি দলীয় প্রার্থীরা দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে লড়াই করছেন। তফসিল অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর  প্রতীক নিয়েই ভোটের মাঠে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন।

এদিকে তাদের মধ্যে তিনজনকে শোকজ করেছে দলটির হাইকমান্ড। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপিও।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির তিন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন বিএনপির প্রার্থী রয়েছেন। এ ছয়জনের মধ্যে ভোলাহাট উপজেলার পাঁচজন ও গোগমস্তাপুর উপজেলা থেকে একজন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।  

বিএনপির প্রার্থীরা হলেন- ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বিএনপি উপজেলা শাখার একাংশের আহ্বায়ক মোহাম্মদ বাবর আলী (আনারস), উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম (চিংড়ি মাছ)।  

ভাইস চেয়রাম্যান পদে উপজেলা বিএনপির সাবেক অর্থ সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন (চশমা), উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কায়সার আহমেদ (তালা) ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপি নেত্রী মোসা. রেশমাতুল আরশ রেখা (ফুটবল)।  

এছাড়া গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আশরাফ হোসেন ওরফে আলিম (আনারস)। (আনারস)। তিনি দীর্ঘদিন আগে গোমস্তাপুর সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

ভোলাহাটের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক (একাংশ) মোহাম্মদ বাবর আলী বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চাপ আর জণগণের প্রত্যাশা থেকে আমি ভোটের মাঠে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপিকে শক্তিশালী করতে এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় জেলার ভোলাহাট উপজেলার ৩ প্রার্থী ও বিএনপি নেতাকে শোকজ করা হয়েছে। তবে বাকি ৩ জনের বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।  

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

ওই তিন ব্যক্তি হলেন- চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএরপির এক অংশের আহ্বায়ক, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. বাবর আলী বিশ্বাস, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল ইসলাম এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কায়সার আহমেদ।  

ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। বিএনপির নেতা হিসেবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, যথাযথ কারণ দর্শিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।

এ ব্যাপারে কায়সার আহমেদ ও বাবর আলী বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, কেন্দ্রে থেকে নোটিশ পাইনি। আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এখনো আমার কাছে কোনো নোটিশ আসেনি, নোটিশ আসলে দেখা যাবে।

এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়া জানান, কেন্দ্র থেকে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ার পরেও স্থানীয় কিছু বিএনপি নেতা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। জেলা বিএনপির নেতারা একসঙ্গে বৈঠকে বসে শুধু ৩ জন নয়, ৬ জনের বিরুদ্ধেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে সুপারিশ করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।