ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে কাঁদলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৪
নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে কাঁদলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

ফরিদপুর: ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা নির্বাচনের মাত্র দুই দিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শনের অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনসহ রিটার্নিং কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বাবুল।

সোমবার (২৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে শহিদুল ইসলাম এমপির হুমকির বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

এ সময় তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ৬৮টি কেন্দ্রের নেতাকর্মীদের ওপর প্রচণ্ড চাপ, প্রতিনিয়ত তারা হুমকি দিচ্ছে। আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমার নেতাকর্মীরা ভীতসন্ত্রস্ত। আমি এখন টিকে থাকতে পারছি না। এ ব্যাপারে আমি নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ’

আগামী ২৯ মে সদরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনের দুই দিন আগে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বাবুল তার নির্বাচনী এলাকায় ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নিজের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেন।

শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘স্থানীয় চেয়ারম্যানরা, প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যানরা, প্রাক্তন চেয়ারম্যানরা, এমপি মহোদয়ের লোকেরা হুমকি দিচ্ছেন প্রকাশ্যে সিল মেরে দেবেন। কোনো এজেন্ট ঢুকতে দেবেন না। এমপি মহোদয় নিজেই বলছেন, আমাকে ৬৮টি কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে দেবেন না। তার এই বক্তব্যের ফলে তার নেতাকর্মীরা এত উৎসাহিত হয়েছে যে, আমার জীবন এখন হুমকির মুখে। ’

এই চেয়ারম্যান প্রার্থী জানান, নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের পরে গত ২১ মে নিক্সন চৌধুরী তার বাড়িতে এসে শত শত লোকের সামনে তাকে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়াতে বাধ্য করেন। এরপর তিনি জনগণের দাবির মুখে আবার নির্বাচনের মাঠে ফেরেন।

শহিদুল ইসলাম বাবুল অভিযোগ করেন, গত ২৫ মে নিক্সন চৌধুরী তার নির্বাচনী এলাকার বাসভবনে নির্বাচনী সভা করেন। সেখানে শুধু তিনিই নন, তার অনুসারী ইউপি চেয়ারম্যানেরাও ঘোষণা দেন যে, ৬৮টি ভোটকেন্দ্রের একটিতেও আমাকে এজেন্ট দিতে দেবেন না। সেই সভায় তিনি (এমপি নিক্সন) প্রতিপক্ষ প্রার্থী কাজী শফিকুর রহমান নয় বরং তিনি নিজেই প্রার্থী বলে উল্লেখ করেন।

নিজেকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করে বাবুল বলেন, ওই সভায় নিক্সন চৌধুরী আমাকে ‘জারজ সন্তান’ বলে গালিগালাজ করেন। একইসাথে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তাকে সদরপুরে ঢুকতে দেবেন না বলে হুমকি দেন।  

সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম ইশতিয়াক আরিফ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচনকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্যকে নির্বাচনী এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানান।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয় উল্লেখ করে সাংবাদিকদের বলেন, যারা জানে যে, ভোটে হেরে যাবে, তারা তো সংবাদ সম্মেলন করে এসব উল্টাপাল্টা কথা বলবেই। ২৫ মে আমি ঢাকায় ছিলাম, তাহলে মিটিং করলাম কীভাবে?

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৪
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।