ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেওয়ার দায় সরকারের, গণসংহতির আলোচনায় বক্তারা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৬ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৪
দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেওয়ার দায় সরকারের, গণসংহতির আলোচনায় বক্তারা

ঢাকা: দুর্নীতি ও লুটপাট প্রাতিষ্ঠানিক এবং কাঠামোগত রূপ নেওয়ার সম্পূর্ণ দায় বর্তমান সরকারের বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা।

শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও রাষ্ট্রের গতিমুখ’ শীর্ষক আলোচনা সভা করা হয়।

দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে এ সভায় প্রাথমিক বক্তব্য উত্থাপন করেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডাভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদ নাজমুল হক প্রধান, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা এবং জেএসডির সিনিয়র সহ সভাপতি তানিয়া রব।

সভা সঞ্চালনা করেন গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাস নাইন বাবু।

সভায় বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে এবং তারা রাষ্ট্রের প্রযোজনায় সমস্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে এক মহাদুর্নীতির যজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকে গচ্ছিত আমানতকারীদের অর্থ লুটে নেওয়ার জন্য, আইন সংশোধন করা হয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে পরিচালক হিসেবে বসানো হয়েছে সরকার ঘনিষ্ঠ লুটেরাদের, এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংককেও ব্যবহার করা হয়েছে। একইভাবে বিদ্যুৎ সংকটকে পুঁজি করে এ খাতে লুট ও দুর্নীতি নিশ্চিত করার জন্য আইন করে কয়েকটি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পুরো খাত। দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে গ্রাহকদের পকেট কেটে ভর্তুকির নামে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে দেওয়া হচ্ছে সরকারের ঘনিষ্ঠ কিছু কোম্পানি হাতে। তাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য দায়মুক্তি আইন পর্যন্ত করা হয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, বলা হচ্ছে বেনজীর বা জেনারেল আজিজের দুর্নীতির দায় প্রতিষ্ঠান বা ওই বিভাগ নেবে না। কিন্তু সরকারের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য আজিজ ও বেনজীরদের স্বেচ্ছাচারিতার ব্ল্যাংক চেক দেওয়া হয়েছে। এদের নেতৃত্বে যেভাবে রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়েছে তাতে পুরো বাহিনী অকার্যকর হয়ে পড়েছে। একইভাবে এই প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষের সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকার, ভোটের অধিকার হরণ করে দেশকে একটি অকার্যকর ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

নেতারা বলেন, সরকার গণমাধ্যমে চমক দেওয়ার জন্য এবং জনগণের সামনে আইওয়াশ হিসেবে কিছু দুর্নীতির বিচারের মহড়া দিচ্ছে। হাতে গোনা সরকারের সুবিধা অনুযায়ী কিছু দুর্নীতির বিচার প্রক্রিয়া চলবে। এ বিচার প্রক্রিয়া কতদিন টিকে থাকবে সেটা নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় আছে। কেননা দুর্নীতিবাজ, মাফিয়া ডাকাতদের আশ্রয়স্থল হচ্ছে আওয়ামী লীগ।

বক্তারা বলেন, দুর্নীতিকে রাষ্ট্রের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো হিসেবে তৈরি করার দায় দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিতে হবে।

তারা আরও বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও আত্মমর্যাদা রক্ষা করতে হলে নতজানু বিনা ভোটের সরকারকে বিদায় করতে হবে। এজন্য সব রাজনৈতিক দল ও গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য ও সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২৪
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।