ঢাকা, শুক্রবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১৯ মহররম ১৪৪৬

রাজনীতি

বরিশালে বাম গণতান্ত্রিক জোটের শোক মিছিল পুলিশি বাধায় পণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৪
বরিশালে বাম গণতান্ত্রিক জোটের শোক মিছিল পুলিশি বাধায় পণ্ড

বরিশাল: নিহত ছাত্র জনতার স্মরণে বরিশালে বাম গণতান্ত্রিক জোটের শোক মিছিল পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে। তবে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কার্যালয়ের সামনে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সমন্বয়ক ডা. মনীষা চক্রবর্তী জানান, শুক্রবার (২৬ জুলাই) বেলা ১১টায় দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরিশালে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাংলাদেশ জাসদের উদ্যোগে কোটাসংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যার বিচার ও হত্যার দায় নিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ দাবিতে নিহতদের স্মরণে শোক মিছিল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এ লক্ষে সকাল ১০টা থেকে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা জোটের ফকিরবাড়ি রোডস্থ বাসদ কার্যালয়ে জড়ো হয়ে মিছিলের প্রস্তুতি নিতে থাকেন।

তিনি বলেন, বেলা ১১টার দিকে বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি মডেল থানার দুই শতাধিক পুলিশ সদস্যসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ফকিরবাড়ি রোড বাসদ কার্যালয়ের প্রবেশমুখ অবরুদ্ধ করে রাখেন।

এরআগে কোতোয়লি থানার কয়েকজন পুলিশ দলীয় কার্যালয় থেকে বের না হওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের চাপ প্রয়োগ করেন। পরে নেতারা মিছিল নিয়ে ফকিরবাড়ি রোডে বের হতে গেলে পুলিশ বাধা দিয়ে মিছিলের পথ আটকে দাঁড়ায়। নেতারা পুলিশি বাধার মুখে সেখানেই দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাম গণতান্ত্রিক জোট বরিশাল জেলা শাখার সমন্বয়ক বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ বরিশাল মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহ আজিজ খোকন।

বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সেলিম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সমন্বয়ক ডা. মনীষা চক্রবর্তী, বাংলাদেশ জাসদ বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম মীরন।

বক্তারা সমাবেশ থেকে কোটাসংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যার বিচার ও হত্যার দায় নিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন এবং নিহত শত শত ছাত্র জনতার স্মরণে বাম গণতান্ত্রিক জোটের শান্তিপূর্ণ শোক মিছিলে পুলিশ-আর্মির এ স্বৈরতান্ত্রিক বাধার তীব্র নিন্দা জানান। বক্তারা এ অগণতান্ত্রিক কারফিউ তুলে নিয়ে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ও যথাযথভাবে ইন্টারনেট চালু করার দাবি জানান।

একইসঙ্গে বক্তারা ছাত্র-জনতা হত্যার বিচার ও স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হবার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।

পরে রাজপথে না নেমেই বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা কর্মসূচি সমাপ্ত করেন। কর্মসূচি শেষে পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্য ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল ছাড়েন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৪
এমএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।