ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

রাজনীতি

‘রায়ের অপেক্ষা না করার সুযোগ নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডব’

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২৪
‘রায়ের অপেক্ষা না করার সুযোগ নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডব’ সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আলেম-ওলামাদের মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ | ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আদালতের রায় হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা না করার সুযোগ নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা দেশে নৈরাজ্য চালিয়েছে এবং সেই তাণ্ডব মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।

শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আলেম-ওলামাদের মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, দুর্বৃত্তরা অসৎ উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ব্যবহার করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে, যা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।

সকল নৈরাজ্যকারী ও চক্রান্তকারীর বিচার হবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি নাশকতার ঘটনার তদন্ত হবে, আমাদের কাছে ফুটেজও আছে। যারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত, তাদের প্রত্যেককে খুঁজে বের করা হবে এবং বিচারের আওতায় আনা হবে।

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে ছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ধৈর্য্য না ধরায়, দুর্বৃত্তরা এর সুযোগ নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের বলব, তোমরা যাতে কারো প্ররোচনায় না পড়, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।

আলেম-ওলামাদের মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, ছাত্রদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে বিএনপি-জামায়াত ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশকে অচল করে দেওয়ার জন্য তারা দেশের প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হামলা করেছে। যারা ক্ষয়ক্ষতি করার চিন্তা করে, ইসলাম তাদের কখনো সমর্থন করে না। যারা দেশজুড়ে এ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

ধর্মমন্ত্রী আরও বলেন, মেট্রোরেলে হামলা চালানো হয়েছে। সাধারণ জনগণ যাতায়াত করতে কষ্ট পাচ্ছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের পুলিশ বাহিনী। পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। পুলিশ সদস্যকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের এই নৃশংসতা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইনের সভাপতিত্বে পার্টির মহাসচিব মাওলানা শাহাদাত হোসাইন এবং মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী, মুফতি আব্দুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ, লক্ষ্মীপুরের পীর খাজা হারুনুর রশিদ মিরন প্রমুখের বক্তব্য শেষে মাওলানা হারুন-রশিদ যুক্তিবাদী মোনাজাত পরিচালনা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২৪
টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।