ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

না. গঞ্জে শ্রমিকলীগ নেতার ইন্ধনে আ. লীগের ১৬ নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১০ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২৪
না. গঞ্জে শ্রমিকলীগ নেতার ইন্ধনে আ. লীগের ১৬ নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শ্রমিকলীগ নেতার ইন্ধনে আওয়ামী লীগের ১৬ নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় ও বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগের পর নুনেরটেক এলাকার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে যাওয়া সুযোগে একদল সুযোগ সন্ধানী এ হামলা চালায়। ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় শ্রমিকলীগ নেতা শুক্কুর মাহমুদের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগী আওয়ামীলীগ নেতারা।

এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কামরুজ্জামানকে একাধিকবার মোবাইলফোনে কল দেওয়া হলে তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।

তবে হামলা ভাঙচুরের ইন্ধনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শ্রমিকলীগ নেতা শুক্কুর মাহমুদ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক গ্রামে মঙ্গলবার ও বুধবার সকালে স্থানীয় আব্দুল কাদির ও বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মো. জিলানী মিয়ার নেতৃত্বে মোস্তফা, মনির হোসেন, সামসুদ্দিন, রফিক ও গুলবক্স, বাউল চাঁনসহ ৫০-৬০ জনের একটি দল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য ওসমান গণি, আবুল হাসেম, মনির হোসেন, স্বপন মিয়া, নজরুল ইসলাম, মাহমুদ, আমজাদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম মনির, খলিল মিয়া, জাকারিয়া, মিজানুর রহমানের ১৬টি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট করে। হামলার সময় বাড়ির নারী ও শিশুরা নিজেদের রক্ষার্থে আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার শুরু করে।

ভুক্তভোগী ছয় নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য ওসমান গণি বলেন, শ্রমিকলীগ নেতার সঙ্গে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব কাজে লাগিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের দিয়ে তাদের বাড়িঘর হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণে আমাদের ওপর হামলা করতে পারেনি। ভাঙচুর ও লুটপাট থেকে আমাদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসেম বলেন, রাজনৈতিকভাবে আমরা সহাবস্থানে ছিলাম। তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শুক্কুর মাহমুদের সঙ্গে শত্রুতার কারণে বিএনপির নেতাকর্মীদের ইন্ধন দিয়ে বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর, লুটপাট করে। তার অফিস থেকে ছয় লাখ টাকা লুট করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শুক্কুর মাহমুদ বলেন, বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় তার ইন্ধন নেই। আমিও আওয়ামী লীগ করি। আমার চাচা ও ফুফা বিএনপি করে তাই আমার বাড়িঘরে হামলা চালাইনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২৪
এমআরপি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।