সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আওয়ামী লীগ কার্যালয় দখল করে বিএনপির সাইনবোর্ড লাগালেন দলটির বহিষ্কৃত এক নেতা।
উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল এ সাইনবোর্ড লাগিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ।
স্থানীয় আওমামী লীগের সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপর ৯ আগস্ট সব কিছু পরিষ্কার করে আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে ওই কার্যালয় দখল করে সেখানে বিএনপির সাইনবোর্ড লাগানো হয়।
সাবেক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, এখানে জায়গা কিনে ২০১৭ সালে ভবন নির্মাণ করে আওয়ামী লীগের কার্যালয় বানিয়েছি। এটা আমার নিজস্ব সম্পত্তি। ৫ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত আর আন্দোলনকারীরা কার্যালয়টি ভাঙচুর করে। ৯ আগস্ট আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে বিএনপির সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে।
তিনি বলেন, তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমিরুল ইসলাম আলিমসহ মূল ধারার নেতারা এ দখলের সঙ্গে জড়িত নন। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল বলেন, এ জায়গাটা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। ২০০৯ সালের আগে এখানে বিএনপি কার্যালয় ছিল। সাবেক মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাস সাহেব এবং ওনার মেয়ের জামাই ও জামাইয়ের ভাইয়েরা সেটি দখল করে। বিএনপি কার্যালয় ভেঙে দিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয় করে তারা। ওই কার্যালয় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার পর আমি পরিষ্কার করে আগের অবস্থায় এনেছি। অতি উৎসাহী ছেলেপেলেরা সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। আমি বললাম, জায়গা আমাদের কিন্তু বিল্ডিং তো আমাদের না। তারপরও তারা সাইনবোর্ড লাগিয়েছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, অন্য কোনো দলের কার্যালয় দখল করার পক্ষে আমরা নই। আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা। এখনও তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়নি। আওয়ামী লীগ কার্যালয় দখল তিনি নিজ দায়িত্বে করেছেন।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোটের প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডলকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৪
এসআই