চাঁপাইনবাবগঞ্জ: ২০১৫ সালে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার আট বছর পর সাবেক এমপি গোলাম রাব্বানীসহ ২৭ জনের নামে মামলা হয়েছে।
শিবগঞ্জে ছাত্রদল কর্মী মতিউর রহমান এমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে আদালতে মামলার আবেদন করেন নিহতের বড় ভাই মো. জেম আলী।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মো. কবির হোসেন।
তিনি জানান, ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি বাজিতপুর গ্রামের মৃত উনসাহাক আলীর ছেলে মতিউর রহমানসহ কয়েকজনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন সকালে মোবারকপুর এলাকার খড়কপুর গ্রামের একটি বেগুন ক্ষেতে গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানী ও তার দলীয় লোকজন এবং তৎকালীন চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব ক্যাম্পের মেজর কামরুজ্জামানসহ মোট ২৭ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
মামলার বাদী মো. জেম আলী বলেন, সাদা পোশাকে মতিউর রহমান এমসহ পাঁচজনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে শুধুমাত্র হজরত ও শ্যামল নামে দুজনকে থানায় হস্তান্তর করলেও এমসহ তিনজনকে গুম করে তারা। পরদিন ভোরে কানসাট এলাকার একটি সবজি খেতে ব্যাপক গুলির ঘটনা ঘটে। পরে সকালে থানা থেকে খবর পেয়ে এমের গুলিবিদ্ধ মরদেহ নিয়ে আসি। এ খবর পেয়ে আমার নানা স্ট্রোক করে মারা গেছেন। থানায় মামলা করতে গিয়েও ব্যর্থ হওয়ায় আর মামলা করিনি। এখন পরিস্থিতি আনুকূলে আসায় সোমবার আদালতে মামলার আবেদন করেছি।
তিনি আরও বলেন, ক্রসফায়ারের নামে আর যেন এমন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড না ঘটে সেজন্য বিচার চাই।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২৪
এসআই