যশোর: যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে টেন্ডার নিয়ে তত্ত্বাবধায়কে লাঞ্ছিতের ঘটনায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এ কে শরফুদ্দৌলা ছোটলুকে শোকজ করা হয়েছে। একইসঙ্গে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুল্লাহকে।
শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালের পাঁচ কোটি টাকার চিকিৎসা উপকরণ সরবরাহের টেন্ডারের সব কাজ না পাওয়ায় ছোটলুর নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদকে লাঞ্ছিত করা হয়। লাঞ্ছিতের সেই সিসিটিভি ফুটেজও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ-ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর বিএনপির ওই নেতাকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় বিব্রত হন জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
এই বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। জেলা বিএনপি বিষয়টি নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য মনে করে এবং আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। ’
জেলা বিএনপির বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কতিপয় ঠিকাদার ও সুপারের মধ্যে এ ঘটনার সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নাই। বিএনপি যেমন রাষ্ট্রক্ষমতায় নাই, তেমন টেন্ডার সংক্রান্ত বা দখলদারিত্বের মতো কোনো বিষয় বিএনপির কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা দলে কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। অতএব ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক বা ঠিকাদারি কাজে কেউ অনৈতিক সুবিধা নিতে চাইলে তিনি দলের যেকোনো স্তরের নেতা বা কর্মী হোক না কেন তার বিরুদ্ধে দল কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে, যা অব্যাহত থাকবে।
শোকজ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির সদস্য এ কে শরফুদ্দৌলা ছোটলু বলেন, ঘটনার সময় যেহেতু আমি সেখানে ছিলাম তাই দল শোকজ করেছে। তবে আমি ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২৪
ইউজি/এসআইএস