ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘খারাপ উদ্দেশ্যে খালেদার ওপর পিপার স্প্রে প্রয়োগ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৫
‘খারাপ উদ্দেশ্যে খালেদার ওপর পিপার স্প্রে প্রয়োগ’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সরকার খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপর পিপার স্প্রে প্রয়োগ করেছে। তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর ওপর এমন আচরণ অমানবিক এবং অনৈতিক।


 
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এ অভিযোগ করে।
 
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব ডা. এসএম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু।

তিনি বলেন, পিপার স্প্রে এমন এক রাসায়নিক ‘অস্ত্র’ যা কেপসিকাম নামক মরিচ জাতীয় এক ধরনের প্লাট থেকে তৈরি করা হয়। এর সঙ্গে এথনল ও প্রোপিলিন গ্লাইকল মিশ্রিত থাকে। যা একে ভয়াবহ বিষাক্ত করে তোলে।
 
পিপার স্প্রে’র ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরে ড. বাচ্চু বলেন, এটি মানবদেহে প্রয়োগের ফলে ‍চোখে জ্বালা পোড়া, ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট, নাক ও চোখ দিয়ে পানি পড়া, প্রচণ্ড কাঁশি, শরীরের উপরের অংশে জ্বালাপোড়া ও শরীরের উপরের অংশ বেঁকে যেতে পারে। এছাড়া বয়স্কদের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। পিপার স্প্রের কারণে ক্যান্সারসহ মারাত্মক শারীরিক ক্ষতি সাধন হয়।
 
তিনি বলেন, নর্থ ক্যারোলিনা মেডিকেল জার্নালের মতে পিপার স্প্রের কারণে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। যে কারণে এই স্প্রের ব্যাবহার কেমিক্যাল ওয়েপন কনভেনশন এ আর্টিকেল ১.৫ দ্বারা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
 
তিনি জানান, কেমিক্যাল ওয়েপন কনভেনশন ১৯৯৩ সালে স্বাক্ষরিত হয় এবং কার‌্যকর হয় ১৯৯৭ সালের ২৯ এপ্রিল। বাংলাদেশও এই কনভেশনে স্বাক্ষরকারী একটি দেশ। কিন্তু তা সত্ত্বেও এটি বিভিন্ন আন্দোলন দমাতে ব্যবহার করা হচ্ছে।
 
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশে ক্ষতিকর এই স্প্রে প্রথম ব্যবহার হয় এমপিওভ‍ুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর। জামালপুরের একজন শিক্ষক এতে আক্রান্ত হয়ে মারাও যান। পরবর্তীতে একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ২১ জানুয়ারি এর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট।

এরপরও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপর এই স্প্রে প্রয়োগ করা হয়েছে। যখন তিনি গুলশান কার্যালয়ে তালাবদ্ধ অবস্থায় অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। বিশেষ খারাপ উদ্দেশ্য নিয়েই তার ওপর এই রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করা হয়েছে। যা অমানবিক ও অনৈতিক। তিনি এখনও অসুস্থ হয়ে আছেন।

সংবাদ সম্মেলনে খালেদার চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিনি (খালেদা) খুবই অসুস্থ। আমি বুধবার তাকে দেখে এসেছি। চেয়ারে ঠিক মতো বসতেও পারছিলেন না। ঠিক মতো কথা বলতে র্পন্ত পারছিলেন না। চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।
 
এ সময় অন্যদের মধ্যে ড্যাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. আব্দুল মান্নান মিয়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক ডা. সাহাবুদ্দিন, অধ্যাপক সহ ড্যাব নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।