ময়মনসিংহ: বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহে মাঠে নেই বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতা-কর্মীরা।
কয়েকদিন আগে জোটের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি মামলায় গ্রেফতার এড়াতেই মূলত মাঠ ছেড়েছেন তারা।
দলীয় সূত্র জানায়, অবরোধের প্রথম দিন মঙ্গলবার ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর মাহমুদ আলমের নেতৃত্বে যুবদল ও ছাত্রদলের প্রায় অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেন।
ওইদিন দুপুরের দিকে তারা বিক্ষোভেরও চেষ্টা করেন। সেই সময় পুলিশ দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে নেতাকর্মীদের আটকের চেষ্টা করলে দলটির নেতাকর্মীরা পালিয়ে যান।
এরপর থেকেই বুধ ও বৃহস্পতিবার শহরের হরি কিশোর রায় রোডের ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির তালাবদ্ধ কার্যালয়ে দলের কোনো সিনিয়র নেতা যেমন আসেননি, তেমনি মাঠ পর্যায়ের কোনো কর্মীকেও কার্যালয়মুখী হতে দেখা যায়নি।
অবরোধে শহরের মাসকান্দা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে গেলেও শহরের কোনো পয়েন্টে বিএনপি বা জামায়াতের নেতাকর্মীদের অবস্থান নিতেও দেখা যায়নি। এ অবস্থায় ময়মনসিংহে নামমাত্র অবরোধ কর্মসূচি পালন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দলীয় পরিমণ্ডলে।
দলটির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গত মঙ্গলবার দায়ের করা পুলিশের দুটি মামলায় দল ও জোটের প্রায় ৬শ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশের রোষানলে পড়ার আতঙ্কেই দলীয় কার্যালয়ে এমনকি রাজপথেও কেউ অবস্থান নিতে সাহস করছেন না।
অবরোধ কর্মসূচির চলমান এমন হাল সম্পর্কে ক্ষোভের সঙ্গে এক নেতা বলেন, নিজেদের ভেতরের কোন্দল ও সমন্বয়হীনতার কারণে চলমান অবরোধ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে না। আন্দোলনও দানা বাঁধছে না।
দলটির এক অংশের নেতারা যদি কার্যালয়মুখী হন, তবে অন্য অংশের নেতারা বাসা ও ক্লাবমুখী রাজনীতি করেন। এভাবে আন্দোলন সফল হতে পারে না।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এ.কে.এম. মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা ফোন কল রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৫
