ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সিলেটে মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নেত্রীর ছেলেকে কুপিয়ে জখম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৫
সিলেটে মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নেত্রীর ছেলেকে কুপিয়ে জখম ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিলেট: সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক নারী কাউন্সিলর ও মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নেত্রী শাহানা বেগম শানুর ছেলে রায়হান ইসলামকে (২৫) কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন মা শানু।



রোববার (২০ ডিসেম্বর) রাত সোয়া আটটার দিকে নগরীর খুলিয়াপাড়াস্থ গরম দেওয়ানের মাজারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত রায়হান ওই এলাকার ৫২/৪ নম্বর বাসার তাজুল ইসলাম ও শানু দম্পত্তির ছেলে।   

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাজার সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানের সামনে আড্ডারত অবস্থায় ৮/১০ জন দুর্বৃত্ত তাকে কুপিয়ে জখম করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরিভাবে তার শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়।

কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, রায়হানের দুই হাত, পিঠ ও পায়ে কোপ রয়েছে। তবে বাম হাতের ক্ষত বেশি হওয়ায় হাতটি কেটে ফেলার প্রয়োজন হতে পারে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার শরীরে অস্ত্রোপচার চলছিলো বলে জানান চিকিৎসকরা।

সিলেট মহানগর পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানার লামাবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) বেনু চন্দ্র দাস বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় কারা জড়িত তা জানা যায়নি। তবে দুর্বৃত্তদের শনাক্তে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্রদল নেতা কামাল হত্যা মামলার আসামি রায়হান গত সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) জেল থেকে জামিনে মুক্তি পান।

গত বছরের ২৬ জানুয়ারি একইভাবে হামলায় নিহত হন শানুর ছোট ছেলে সোহান (১৮)। একই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর খুলিয়াপাড়ায় ছাত্রদল নেতা কামাল আহমদকে কুপিয়ে খুন করা হয়।

এ ঘটনায় সাবেক কাউন্সিলর শানুসহ তার পরিবারের ৮ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় নিহত কামাল আহমদের স্ত্রী হ্যাপি বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৫
এনইউ/এএএন/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।