ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘নির্বাচনে তারা সন্ত্রাসের কার্বন ডাই অক্সাইড ঢালছে’

পলিটিক্যাল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
‘নির্বাচনে তারা সন্ত্রাসের কার্বন ডাই অক্সাইড ঢালছে’ রুহুল কবির রিজভী আহমেদ

ঢাকা: সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, গণতন্ত্রের নিভু নিভু জীবন প্রদীপকে একেবারে নিভিয়ে দিতে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে তারা সন্ত্রাসের বিষাক্ত কার্বনডাই অক্সাইড নির্গত করছে, নির্বাচনী এলাকাগুলোর পরিবেশ দূষণ করছে।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

পরে বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি এ বিষয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠান।

রিজভী বলেন, দেশবাসী ভোট, পার্লামেন্ট হারিয়েছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে চোখের সামনে থেকে অপসৃত হতে দেখছে। গণতন্ত্রকে এখন মানুষের মনের ভেতর স্মৃতির মিনার বানানোর জন্য এর নিভু নিভু জীবন প্রদীপকে একেবারে নিভিয়ে দিতে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে তারা সন্ত্রাসের বিষাক্ত কার্বনডাই অক্সাইড নির্গত করে নির্বাচনী এলাকাগুলোর পরিবেশ দূষণ করছে। নির্বাচনী এলাকায় শুধু জনজীন বিপর্যস্ত ও বিপন্নই নয়, মানুষ অষ্ট প্রহর দিন গুণছে-ভোটের দিন কী হয়। তারা একটি এলাকায় সহিংস রক্তপাত ঘটানোর সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি নির্বাচনী এলাকায় তা ছড়িয়ে দিতে উন্মাদ হয়ে পড়ে।

তিনি নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বলেন, ইসি সম্পর্কে মানুষ ক্রমশই সন্দিহান ও বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছে। আওয়ামী দূষিত রাজনীতির ঘ্রাণ নিয়ে নির্লজ্জ, অবিবেকী নির্বাচন কমিশন তার স্বাধীন সত্ত্বা হারিয়ে বিবেকহীন দলবাজির কৃতদাসে পরিণত হয়েছে। তাদের নিজের আচরণের কারণেই এখন জনগণের নিকট উপহাসের পাত্র হয়ে পড়েছে।

রিজভী অভিযোগ করেন, নির্বাচনী শিডিউল ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত আচরণবিধি ভঙ্গের অজস্র অভিযোগ, অসংখ্য অনিয়ম এরা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন সত্যিই যে বর্তমান সরকারের নির্লজ্জ তল্পিবাহক, সেটি তারা বারবার নিজেরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করছে। আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এমপি-মন্ত্রীর সঙ্গে নৌকা মার্কার পক্ষে কাজ করছেন, ধানের শীষের মেয়র প্রার্থীর পক্ষের সমর্থকদের প্রচণ্ড প্রাণঘাতী আক্রমণ করে হত্যা, জখম, অঙ্গহানি ঘটানো হচ্ছে। এসব এখন নিত্য দিনের ঘটনা।

তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারে নির্দয়ভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে মানুষের চোখের সামনে, হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অপহরণ ও জোর করে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারে ঘৃণ্য কাজ এখনও চলছে। সর্বত্র শাসকদলের সহিংসতা, সন্ত্রাসে বেহাল বিশৃঙ্খল অবস্থা সামাল দিতে অক্ষম নির্বাচন কমিশন। মূলত কমিশন ছত্রছায়া দিচ্ছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আশকারা দিয়ে পৌরসভা নির্বাচনকে শাসকদলের পক্ষে নিয়ে আসার জন্য।

বিএনপির এ যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, শাসকদলের সন্ত্রাসের পরিকাঠামো ভেঙে ফেলে জনগণ দ্বারা ভোট কেন্দ্র ঘেরাও করে রাখাটাই হবে বর্তমান সময়ে গণতন্ত্রের আদর্শ পরিসীমা। এই ভোটারবিহীন সরকারের পরিকল্পনা ও সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে আগে যেভাবে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, এখন এই ‘অন্যায়ের’ বিরুদ্ধে এবার জনগণ দুর্বার সাহস ও বীরত্ব প্রদর্শন করে এই ‘অবৈধ’ সরকারের সন্ত্রাসী পরিকাঠামোকে ভেঙে আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় পৌর নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।

পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী যারা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তাদের আশু সুস্থতা কামনা করে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান বিএনপির দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এ নেতা।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে রিজভী দেশজুড়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী, কাউন্সিলর প্রার্থী, নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা ও তাদের গ্রেফতারের অভিযোগের ফিরিস্তি তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।