ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

২৮ মার্চ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন

শামীম খান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৬
২৮ মার্চ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন

ঢাকা: আগামী ২৮ মার্চ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে।



শনিবার (০৯ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপশি এ সভায় পৌরসভা নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তও হয়।

শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে গণভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সম্মেলনের কথা জানান।

এদিকে সভার সূত্র জানায়, ২০তম জাতীয় সম্মেলনের প্রস্ততির জন্য উপ-কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের ১৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পর পর জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সে অনুযায়ী গত বছরের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। যদিও ডিসেম্বরেই আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু পৌরসভা নির্বাচনের কারণে সম্মেলন পিছিয়ে দেওয়া হয়।
 
সভায় আওয়ামী লীগের বর্তমান কার্যনির্বাহী সংসদের মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ এ প্রস্তাব করলে সর্বসন্মতিক্রমে তা পাস হয়।

সূত্র জানায়, দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পৌর নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রসঙ্গে নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, যারা দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও আমাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই।

সভায় শেখ হাসিনা বলেছেন, দলের সাধারণ সম্পাদক যেভাবে কথা বললেন, আমাদের সেই পদ্ধতিতেই এগুতে হবে।

স‍ূত্র আরও জানায়, সভায় পৌরসভা নির্বাচনে যারা বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী হয়েছিলেন এবং দলের যারা বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থন দিয়ে কাজ করেছেন তাদের দলের ৪৬ এর ‘ক’ ধারা অনুযায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য জেলা পর্যায় থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রায় অর্ধশতাধিক বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেয়। তাদের সমর্থনে দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি ২২ জন এমপির নামও রয়েছে।

সূত্র জানায়, দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যে আইন হয়েছে, সেই পদ্ধতিতেই আগামীতে ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নেবে বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জানুয়রি ০৯, ২০১৬/আপডেট: ২৩০০ ঘণ্টা
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।