ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

অবশেষে জামিন পেলেন খন্দকার মোশাররফ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৬
অবশেষে জামিন পেলেন খন্দকার মোশাররফ ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন

ঢাকা: অর্থপাচারের (মানিলন্ডারিং) মামলায় প্রায় দুই বছর কারাগারে থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে অবশেষে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
 
রোববার (১০ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।


 
এ আদেশের ফলে প্রায় এক বছর দশ মাস ধরে কারাবন্দি বিএনপির এ নেতার এখন জামিনে মুক্তি পেতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আদালতে মোশাররফের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান।

এর আগে ২০১৫ সালের ১৯ আগস্ট হাইকোর্ট খন্দকার মোশাররফকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিয়েছিলো। কিন্তু এ আদেশের বিরুদ্ধে দুদক আপিলে গেলে ২৭ আগস্ট তার জামিন স্থগিত করে। এবং লিভ টু আপিল করতে নির্দেশ দেন। রোববার এ লিভ টু আপিলের আবেদন নিষ্পত্তি করে শর্ত সাপেক্ষে জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
 
আদেশের পর খুরশীদ আলম খান জানান, হাইকোর্ট শর্ত দিয়েছিলো খন্দকার মোশাররফের পাসপোর্ট সংশ্লিষ্ট আদালতে জমা দিতে হবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। এছাড়া তার যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে, সেই হিসাবে কোনো লেনদেন করা যাবে না। এসব শর্তের সঙ্গে আরো শর্ত দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সেগুলো তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। কোনো প্রকার মুলতবির আবেদন করতে পারবেন না খন্দকার মোশাররফ। করলে জামিন বাতিল করতে পারবেন বিচারিক আদালত।  

যুক্তরাজ্যে মোট ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা পাচারের অভিযোগে ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, খন্দকার মোশাররফ ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের Lloyds TSB Offshore Private Bank- এ তার নিজের ও স্ত্রী বিলকিস আক্তারের যৌথ নামে ৮ লাখ ৪ হাজার ১৪২ ব্রিটিশ পাউন্ড পাচার করেন। যা বাংলাদেশি টাকায় ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা। এ টাকা তিনি বিভিন্ন সময় ১০৮৪৯২ নম্বরে ফিক্সড টার্ম ডিপোজিট হিসেবে জমা করেন।

দুদকের অনুসন্ধানে মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘিত হওয়ায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০০২ এর ১৩ ধারা এবং ২০০৯ ও ২০১২ এর চার ধারায় মানিলন্ডারিংয়ের মামলা দায়ের করা হয় বিএনপির হেভিওয়েট এ নেতার বিরুদ্ধে।

২০১৪ সালের ১২ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় খন্দকার মোশাররফকে গুলশানে তার নিজ বাসা থেকে আটক করে।
 
এ মামলায় গত বছরের ২৮ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আতাউর রহমান অভিযোগ গঠন করেন। বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৫/আপডেট: ১৩৩০ ঘণ্টা
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।