ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘পঁচাত্তরের পর আমরা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি’

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬
‘পঁচাত্তরের পর আমরা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ‘পঁচাত্তর সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমরা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর নাম পর্যন্ত মুছে ফেলার অপচেষ্টা হয়েছে।

কিন্তু কেউ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে বিচ্যুত‍ করতে পানেনি। আগামীতেও পারবে না’।

‘তাই বিভেদ নয়, আসুন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলি’।

মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবীর এম এ জি ওসমানীর ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে এ কথা বলেন সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন।

বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি পরিষদ আযোজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্মৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খাজা মাসুদা খাতুন।

বক্তব্য রাখেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, স্মৃতি পরিষদের সদস্য এনামূল হক চৌধুরী, বিশ্ব বাঙালি সম্মেলনের সভাপতি আবদুল খালেক প্রমুখ।

ড. কামাল বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের জন্য জীবন দানকারী শহীদরা আমাদের গর্ব। শহীদদের প্রতি আমাদের প্রাণঢালা শ্রদ্ধা।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি ওসমানী ছিলেন আমাদের প্রেরণাদায়ী। সংবিধান প্রণয়নে ওসমানীরও অবদান রয়েছে। সংবিধানে তার স্বাক্ষর রয়েছে। আক্ষরিক অর্থে তিনি একজন আদর্শ মানুষ ছিলেন।

এই সংবিধান প্রণেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো ওসমানীও বুঝেছিলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের থাকা ঠিক নয়। বাঙালিরা বৃহত্তম জনগোষ্ঠী হওয়া সত্বেও ওরা আমাদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে রাখতে চেয়েছিল। আমাদের ওপর চরম বৈষম্য সৃষ্টি করেছে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী।

যে কারণে সামরিক বাহিনীতে বাঙালিরা ছিলেন শতকরা পাঁচ শতাংশ। আর বেসামরিকে চাকরির কোটা ছিল ৩০ শতাংশ। পাকিস্তানের ২২ পরিবারের হাতে আমরা জিম্মি ছিলাম।

ড. কামাল হোসেন বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে বলেন, কিছু লোক গুলশান-বনানীতে বাস করবেন, তারা বস্তিতে থাকবেন, এটা দীর্ঘদিন চলতে পারে না।

এম এ মান্নান বলেন, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন। এ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি কাম্য নয়। এতে আমরা খাটো হয়ে যাবো বিদেশিদের কাছে।

তিনি বিভেদ ভুলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য সবার প্রতি আহবান জানান। এম এ জি ওসমানীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মান্নান বলেন, মহৎ গুণাবলীর মানুষ ছিলেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬
এসএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।