ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নাইকো দুর্নীতি মামলা

অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে ১২ এপ্রিল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬
অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে ১২ এপ্রিল খালেদা জিয়া

ঢাকা: নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানি পিছিয়েছে। প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সাত আসামির সময়ের আবেদনে এ শুনানির দিন আগামী ১২ ‍এপ্রিল পুনর্নির্ধারণ করেছেন আদালত।



ঢাকার বিশেষ জজ-৯ আমিনুল ইসলামের আদালতে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। ১১ জন আসামির মধ্যে সাতজন আদালতে অনুপস্থিত থেকে তাদের আইনজীবীদের মাধ্যমে সময়ের আবেদন জানান। এ আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল।

খালেদা জিয়া ছাড়া অনুপস্থিত অন্য ছয় আসামি হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্স্’র সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

কারাগারে আটক ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে আদালতে হাজির করা হয়। অন্য তিন আসামি জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন এবং ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া আদালতে হাজির ছিলেন।
 
গত বছরের ৩০ নভেম্বর হাইকোর্টের আদেশে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন খালেদা জিয়া।

গত বছরের ১৮ জুন খালেদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম বিচারিক আদালতে চলবে বলে রায় দেন বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ। মামলাটি বাতিলে খালেদার রিট আবেদন ও এ সংক্রান্ত রুল খারিজ এবং বিচারিক কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে তাকে দুই মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।


নাইকো ছাড়াও গ্যাটকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দু’টিও বিচারিক আদালতে চলবে বলে চূড়ান্ত রায় দিয়ে খালেদাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এসব দুর্নীতি মামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা বাতিলের আবেদন জানিয়ে পৃথক পৃথক রিট করেছিলেন খালেদা জিয়া। এসব রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত ও রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। কয়েক বছর ধরে স্থগিত থাকার পর মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নিয়ে রুল নিষ্পত্তির আবেদন জানায় দুদক। পরে পৃথক পৃথক শুনানি শেষে মামলা তিনটি সচলের রায় দেন হাইকোর্ট।
 

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করেন।

২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান।

অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই নাইকো দুর্নীতির মামলার কার্যক্রম দুই মাসের জন্য স্থগিত ও রুল জারি করেন আদালত। পরে স্থগিতাদেশের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৫
এমআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।