ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ইউপি নির্বাচন

দেবিদ্বারে আ’লীগ নেতার বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ

স্টাফ ও উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৬
দেবিদ্বারে আ’লীগ নেতার বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চান্দিনা (কুমিল্লা): কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহজাহান সরকারের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় তাকে স্থানীয় স্কুলের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষুব্ধরা।



ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ভোটে নির্বাচিত দলীয় প্রার্থী (শাহজাহান সরকার) অন্য প্রার্থীর কাছে মনোনয়ন বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সুলতানপুর ইউনিয়নের তুলাগাঁও গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে।

পরে, ‘মনোনয়ন বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার ও দলের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে’ জানিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মুন্সির ফোন পেয়ে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা শান্ত হয়।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি করিম সরকার বাংলানিউজকে বলেন, দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে সুলতানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রত্যেক ওয়ার্ডের সভাপতি ও সম্পাদকদের মতামত ও ভোট নেওয়া হয়। এতে ১৮টি ভোটের মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান সরকার শতভাগ ভোট পান।

পরে আমরা সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী ঘোষণা করে উপজেলা কমিটির মাধ্যমে কেন্দ্রে পাঠাই। কিন্তু ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে হঠাৎ জানতে পারি তৃণমূলের সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে মনগড়াভাবে শফিক নামে এক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহজাহান সরকার তার মনোনয়ন বিক্রি করে দিয়েছেন বলে ধারণা জন্মায় নেতাকর্মীসহ সাধারণ ভোটারদের মধ্যে। এতে শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী ও ভোটাররা তুলাগাঁও গ্রামের শাহজাহান সরকারের বাড়ি ঘেরাও করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। একপর্যায়ে তারা শাহজাহান সরকারকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী তুলাগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রেখে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় উত্তেজিত জনতার তোপের মুখে আমি মাথায় আঘাত পাই।

কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মামুনুর রশিদ সরকার বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য মোবাইল ফোনে মনোনয়ন বিক্রির বিষয়টি মিথ্যা এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে হয়েছে বলে আমাদের জানান। তিনি পরিস্থিতি শান্ত করতে শাহজাহান সরকারকে নির্বাচনে অংশ নিতে পরামর্শ দেন। পরে উত্তেজিত জনতা মুক্তি দেয় শাহজাহান সরকারকে।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জয়নুল আবেদীনের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৬
এএটি/এমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।