ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

শহীদ মিনারে মারামারিতে পুলিশকে দুষলেন রিজভী

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৬
শহীদ মিনারে মারামারিতে পুলিশকে দুষলেন রিজভী রহুল কবির রিজভী আহমেদ

ঢাকা: একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে বিএনপির নেতাকর্মীদের হাতাহাতি ও মারামারির জন্য পুলিশকে দোষারোপ করেছেন দলটির দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রহুল কবির রিজভী আহমেদ।


রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দোষারোপ করেন তিনি।



রিজভী আহমেদ বলেন, একুশের প্রথম প্রহরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন জানিয়ে তার সার্বিক নিরাপত্তা দিতে পুলিশ ও ৠাব প্রধানদের কাছে দলের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসন তার গুলশানের বাসভবন থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসা পর্যন্ত পুলিশ বারবার তাকে বাধা দেয়। গুলশানে তার বাসভবনের সামনেই পুলিশ ব্যারিকেড সৃষ্টি করে।

বিএনপির এ যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, সব বাধা পেরিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাছাকাছি পৌঁছালে পুলিশ দুই জায়গায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করে অপেক্ষমান নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই ঘটনায় প্রায় অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী মারাত্মকভাবে আহত হন।

রিজভী হামলার জন্য পুলিশকে অভিযুক্ত করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

তিনি নোয়াখালীর চাটখিলে একুশের রাতে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনে গিয়ে বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেন আগুন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন দাবি করে এজন্য আওয়ামী লীগকে অভিযুক্ত করেন। আগুনের হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবিও জানান রিজভী।

এসময় সাতক্ষীরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র কেনা ও জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের কর্মীদের বাধার মুখে পড়েছেন বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এ যুগ্ম-মহাসচিব। তিনি হামলার ঘটনার বিস্তারিতও তুলে ধরেন।

রিজভী বলেন, হিংসাকে আওয়ামী লীগ পরম ধর্ম বলে মনে করে। এরা হত্যা আর রক্তের উৎসরণের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ও মানুষের স্বাধীনতাকে সমাধিস্থ করে ফেলেছে। এখন কোথাও কোনো নিরাপত্তা নেই। হয় ধরা পড়বে নয়তো মরে যাবে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়-শাসকদলের অনুগ্রহের ছায়াতলেই এদেশের মানুষকে বাঁচতে হবে। বর্তমান শাসনকালকে মনে হয়-চারিদিকে শকুন আর হায়েনার জয়জয়কার।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৬/আপডেট ১৬৫৬ ঘণ্টা
এমএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।