ঢাকা: পৌরসভা নির্বাচনে কাজ করেছেন দল থেকে বহিষ্কৃত ও বিদ্রোহী প্রার্থীর হয়ে। নির্বাচন শেষে মারধরের অভিযোগ এনে মামলা দিলেন দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে!
এমন অভিযোগ উঠেছে গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত পৌরসভা নির্বাচনের পর মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার কুলাউড়া পৌরসভায়।
কুলাউড়া পৌরসভায় মেয়র পদে দলের মনোনয়ন দেওয়া হয় কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ একেএম সফি আহমদ সলমানকে।
বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শফি আলম ইউনুস। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ তাকে বহিষ্কার করলেও মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।
দলীয় প্রার্থীকে পরাজিত করতে বহিষ্কৃত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগ ছিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনুর বিরুদ্ধে।
রেনু দলীয়ভাবে কোনঠাসা হয়ে পড়ায় দলীয় প্রার্থী সলমানের বিরুদ্ধে মারধর ও লাঞ্চিত করার অভিযোগ এনে ঠুকে দিলেন মামলা।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘ঢাকাস্থ সচেতন কুলাউড়াবাসীর’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব অভিযোগ করেছেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য জীবন রহমান মানববন্ধনে বলেন, রেনু শফিসহ অন্য দলের প্রার্থীদের পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করেন। এ নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের তোপের মুখে রয়েছেন তিনি।
রেনুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতারা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে সুপারিশ করেছেন। এ নিয়ে রেনু আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন।
মুক্তার হোসেন সুমন নামে একজন নেতা বলেন, ৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলার কাদিপুর যুবলীগের সম্মেলনে রেনু ও সলমান যোগদান করেন।
রেনু সম্মেলনে যোগদান করার পরপরই স্থানীয় নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এ নিয়ে স্থানীয় দু’গ্রুপের আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
পরে রেনু সে সম্মেলন থেকে চলে যান। কিন্তু ৭ ফেব্রুয়ারি সলমানকে প্রধান আসামি ও ১৫ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মারধরের অভিযোগ এনে ‘মিথ্যা’ মামলা করেন।
মামলাটি দায়ের করায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নেতাকর্মীরা ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার ও রেনুকে দলকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন।
মানববন্ধনে জাফর আহমেদ, আল ইমরান হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধন থেকে ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬
আরইউ/এইচআর/এএসআর