বাগেরহাট: প্রথম ধাপে অনুষ্ঠেয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বাগেরহাটের চিতলমারী ও মোল্লাহাট উপজেলার সবগুলোত ইউনিয়নে জয়ের পথে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী।
মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে ওই দুই উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই।
চিতলমারী উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ৫টিতেই আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিপরীতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেনি। কেবলমাত্র উপজেলার চিতলমারী সদর ও শিবপুর ইউনিয়নের দু’জন স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র দখিল করলেও যাচাই বাছাইয়ে তা বাদ পড়েছে।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, একজন প্রার্থী চেয়ারম্যান ও সাধারণ সদস্য এ দু’টি পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় এবং অপর এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রস্তাবক ও সমর্থকের স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগে মনোনয়নপত্র দুটি বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া দুই প্রার্থীই স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তবে মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তারা আপিল করতে পারবেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে উপজেলার বড়বাড়ীয়া, কলাতলা, হিজলা, শিবপুর, চিতলমারী সদর, চরবানিয়ারী ও সন্তোষপুর এই ৭টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মাত্র একজন করে প্রার্থী রয়েছেন। তারা সবাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী।
মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র অধিকারী বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে গাংনী ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ পূর্ণ না হওয়ায় সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। বাকি ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন হচ্ছে প্রথম দফায়।
ছয় ইউনিয়নের ৪টিতেই একক প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিল আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এছাড়া উপজেলার গাওলা ইউনিয়নে দু’জন এবং চুনখোলা ইউনিয়নের একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই বাছাইয়ের কাগজপত্রে ত্রুটি এবং বিধি লঙ্ঘনের কারণে ওই তিনটি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
ফলে উপজেলার উদায়পুর, কুলিয়া, কোদালিয়া, চুনখোলা, গাওলা ও আটজুড়ি ৬টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী রয়েছেন।
বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রুহুল আমিন মল্লিক বাংলানিউজকে বলেন, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আপিল করতে পারবেন। আপিল শেষে ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আপিল নিষ্পত্তির পারও ২ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হবার পর স্ব স্ব রিটার্নিং কর্মকর্তা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করতে পারবেন।
প্রথম বারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে এই দুই উপজেলার একটি ইউনিয়নেও চেয়ারম্যান পদে বিএনপি থেকে কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি। যদিও বিএনপির অভিযোগ সরকার দলীয় বাধা, হুমকি-ধামকি ও নানাবিধ চাপে এসব ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেনি।
চিতলমারী ও মোল্লাহাটে একক চেয়ারম্যান প্রার্থীরা যারা
চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়ীয়া ইউনিয়নে-অহিদুজ্জামান পান্না শেখ, কলাতলা ইউনিয়নে-শিকদার মতিয়ার, হিজলা ইউনিয়নে- কাজী আজমীর আলী, শিবপুর ইউনিয়নে- অহিদুজ্জামান মোল্লা, চিতলমারী সদর ইউনিয়নে- নিজাম উদ্দিন শেখ, চরবানিয়ারী ইউনিয়নে- অশোক কুমার বড়াল ও সন্তোষপুর ইউনিয়নে বিউটি আক্তার।
মোল্লারহাট উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নে- এসকে হায়দার মামুন, চুনখোলা ইউনিয়নে- মুন্সী তানজিল হোসেন, কুলিয়া ইউনিয়নে- বাবলু মোল্লা, গাওলা ইউনিয়নে- শেখ রেজাউল কবির, কোদালিয়া ইউনিয়নে- বিএসএমবি জামান সাইফুল ও আটজুড়ি ইউনিয়নে মশিউর রহমান মিয়া।
এরা সবাই স্ব স্ব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬
এসএইচ