ঢাকা: আগামী ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের দিনই দলটির চেয়ারপারসন ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণ হবে।
সোমবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন দলের নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার।
১৯৮৪ সাল থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন পদে রয়েছেন খালেদা জিয়া। ছয় বছর আগে অনুষ্ঠিত ৫ম কাউন্সিলে তাকেই নেতৃত্বের আসনে রাখা হয়।
ওই কাউন্সিলেই বিএনপিতে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদ তৈরি করে সেখানে খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমানকে আনা হয়।
সম্প্রতি দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদেও নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে জমির উদ্দিন সরকার বলেন, দুই শীর্ষ পদে নির্বাচন করতে চাইলে ২ মার্চ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যাবে, জমা দেওয়া যাবে ৪ মার্চ পর্যন্ত।
এরপর ৫ মার্চ বাছাই হবে এবং ৬ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রিটার্নিং অফিসারের অস্থায়ী কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে।
তিনি বলেন, চেয়ারম্যান (চেয়ারপারসন) ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা নিজে কিংবা লিখিতভাবে মনোনীত এজেন্টের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে, জমা দিতে বা প্রত্যাহার করতে পারবেন। ভোট গণনার সময়ও উপস্থিত থাকতে পারবেন।
বিএনপির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীর বয়স হতে হবে অন্তত ৩০ বছর। একইসঙ্গে তাকে দলের চাঁদাদাতা সদস্য হতে হবে।
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপির চেয়ারম্যান পদে আসেন বিচারপতি আবদুস সাত্তার।
এরপর ১৯৮৪ সালে দলের ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে খালেদা জিয়া চেয়ারপারসন হন। ২০০৯ সালের কাউন্সিলেও তাকে চেয়ারপারসন নির্বাচিত করা হয়।
বিএনপির নির্বাচন কমিশনের সদস্য হারুন আল রশিদ, সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আমীনুল হক, রিটার্নিং অফিসার নজরুল ইসলাম খান, সহকারী রিটার্নিং অফিসার আবদুল মান্নান তফসিল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০১৬
এজেড/এটি