বাগেরহাট: ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটের আগেই বাগেরহাটের ৩৪টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন বুধবার (০২ মার্চ) রাতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের মধ্যে রয়েছেন, জেলার চিতলমারী উপজেলায় ৭টি, মোল্লাহাট উপজেলার ৬টি, বাগেরহাট সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন, কচুয়ার ৪টি, রামপালের ২টি, মোরেলগঞ্জের ৩টি, ফকিরহাট উপজেলার ২টি ও মংলার একটি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী।
এছাড়া ইউপি সাধারণ সদস্য পদে অন্তত ৮জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে অন্তত একজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
এর আগে, ২২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে জেলার ৯ উপজেলার ৭৪ ইউনিয়নের মধ্যে ১৯টিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া আর কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইকালে আরও সাতটি ইউনিয়নে বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বিভিন্ন কারণে বাতিল ঘোষিত হয়।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রুহুল আমিন মল্লিক বাংলানিউজকে জানান, মনোনয়পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে আরও ৮টি ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। সব মিলে ৩৪টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন।
এদিকে বাগেরহাট জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু অভিযোগ করেছেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান ও তাদের লোকেরা বিএনপি প্রার্থীদের ভয়-ভীতি ও বাধা দেওয়ায় ১৯ ইউনিয়নে বিএনপি দলীয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেনি। গত কয়েকদিনে অব্যাহত হুমকি ও চাপের মুখে আরও কয়েকজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন।
তবে বিএনপি নেতার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকু বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিএনপি সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে সব ইউনিয়নে প্রার্থী দিতে পারেনি। এখন তারা আওয়ামী লীগের উপর তাদের ব্যর্থতার দায় চাপানোর চেষ্টা করছে।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাগেরহাটে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ মোট সাতটি রাজনৈতিক দল ইউপি নির্বাচনে অংশ নেয়। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৭৪টির মধ্যে সবকটি ইউনিয়নে এবং বিএনপি ৪২টি ইউনিয়নে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলো।
প্রত্যাহার শেষে বুধবার (০২ মার্চ) জেলার মোট ৩৪টি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে অন্তত আটজন সাধারণ সদস্য ও একজন সংরক্ষিত নারী সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচন কর্মকর্তা রুহুল আমিন মল্লিক বলেন, চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থীদের বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত বলে ঘোষণা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৬
এসএইচ