বরিশাল: নাশকতার মামলায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ বিএনপি-জামায়াতের ৬৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (০৩ মার্চ) বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হোসাইনের আদালত চার্জ গঠন করেন।
অভিযুক্ত নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপির মহানগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়া, কাউন্সিলর ফিরোজ আহম্মেদ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর সেলিনা বেগম, অ্যাড. আলী হায়দার বাবুল, অ্যাড. তারেক আল ইমরান, ছাত্রদলের মহানগর কমিটির আহবায়ক খন্দকার আবুল হাসান লিমন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আফরোজা খানম নাসরিন, জেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আরিফুর রহমান মুন্না, জাসাস জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর আদনান আহম্মেদ তুহিন, মৎস্য শ্রমিক দল নেতা সাগরউদ্দিন মন্টি, শাকিল খান, মিলন সরদার, যুবদল থেকে যুবলীগে যোগদানকারী জাহিদ ওরফে খাটো জাহিদ, জামায়াতের মহানগর আমির অ্যাড. মুয়াযযম হোসাইন হেলাল, নেতা আব্দুল বারেক হাওলাদার, ছাত্রশিবিরের মহানগর তমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান, সুজন সিকদার, চুন্নু মৃধা।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতু সংলগ্ন নগরীর রুপাতলি এলাকার টোলপ্লাজার সামনে অবরোধের সমর্থনে নাশকতার উদ্দেশ্যে জোট নেতাকর্মীরা জড়ো হন।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ সেখানে গিয়ে নেতাকর্মীদের অবরোধ ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে বাধা দেয়।
বিপরীতে জোট নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশকে আহত করেন।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২ রাউন্ড টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে।
এ ঘটনায় জোটের নামধারী ৩৮ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাতনামা ৪০০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই শ্যামল চন্দ্র বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
একই থানার এসআই আব্দুর রহমান মুকুল ২০১৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৬৭ নেতাকর্মীকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন।
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, চার্জ গঠনের জন্য সময় প্রার্থনা করে আবেদন করা হয়েছিল। মুখ্য মহানগর হাকিম ওই আবেদন গ্রহণ না করে চার্জ গঠন করে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৬
এএসআর