রংপুর থেকে: আর মাত্র কয়েক দিন পরই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
সোমবার সন্ধ্যায় রংপুর শহরে বিএনপির মহানগর ও জেলা অফিসের দরজায়ও তালাই ঝুলতে দেখা গেলো। পাত্তা মিললো না কোনো কোনো নেতাকর্মীরও। কথা হলো- অফিসের কাছেই সাইকেল গ্যারেজের এক কর্মচারীর সঙ্গে।
নাম না প্রকাশের শর্তে সাইকেল গ্যারেজের ওই কর্মচারী বাংলানিউজকে বলেন, বিএনপি অফিস বেশিরভাগ সময়ই বন্ধ থাকে। মাঝেমধ্য খুললেও তেমন কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায় না। মহানগর সভাপতি মোজাফফর হোসেন ও জেলা সভাপতি এমদাদুল হক ভরসাকে মাঝে মধ্যে দেখা যায়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে দুইতিনদিন আগে এই দুই নেতাকে কার্যালয়ে দেখেছেন এই সাইকেল গ্যারেজের কর্মচারী।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, সাবেক বিএনপি নেতা রেজাউল করিম রাজুর সময়ে বিএনপির অফিস ছিল জমজমাট। তিনি এই অফিসটি করে দিয়ে গেছেন।
টেলিফোনে কথা হয় বিএনপির মহানগর সভাপতি মোজাফর হোসেনের সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমি একটু অসুবিধার জন্য অফিসে যেতে পারছি না। সেক্রেটারি শামসুজ্জামান সামু কাউন্সিল নিয়ে ব্যস্ত থাকায় র্কাযালয়ে আসতে পারছেন না।
এদিকে বেত পট্টিতে সরকারি দল আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে দেখা গেছে জমজমাট পরিবেশ।
তৃণমূল কর্মী গাফফার বাংলানিউজকে জানান, তাদের কার্যালয়ে সব সময়ই নেতাকর্মীরা থাকেন। কাজের ফাঁকে সময় পেলেই তারা কার্যালয়ে আসেন।
নগরীর রাজনৈতিক পরিস্থিতি জানতে চাইলে গাফফার বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগসহ আর সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে সহাবস্থান রয়েছে।
রাত সাড়ে সাতটার দিকে সেন্ট্রাল রোডে গিয়ে দেখা যায়, জাতীয় পার্টির কার্যালয় বন্ধ। তবে সামনে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী হাঁটাহাঁটি করছেন।
এদের একজন আরিফ। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বড় নেতারা নিয়মিত কেউ আসেন না। তবে তৃণমূল নেতাকর্মীরা বিকেল থেকেই কার্যালয়ে আসেন। রাত আট/নয়টা পর্যন্ত থাকেন।
যদিও ওই সময় কার্যালয় বন্ধই দেখা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৬
এমএম/একে/জেডএম