ঢাকা: বিএনপি আমলে ২০০৫ সালে নিয়োগ পাওয়া ৮৫ জন নির্বাচন কর্মকর্তার ভূমিকা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কাছে এ আপত্তি জানিয়েছে।
সিইসি’র সঙ্গে সাক্ষাতের পর প্রতিনিধি দলের সদস্য আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ সাংবাদিকদের জানান, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের অনুসারী অন্তত ৮৫ জন কর্মকর্তা দায়িত্বরত রয়েছেন। সিইসিকে বিষয়টি নজরে আনা হয়েছে।
২০০৫ সালের আজিজ কমিশনের সময় ৩২৭ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পাবলিক সার্ভিস কমিশন তাদের নিয়োগ পরীক্ষা নেয়। পরবর্তীতে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে আওয়ামী লীগ। ২০০৭ সালের মে মাসে সেনা সমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়কার এটিএম শামসুল হুদার কমিশন ওই কর্মকর্তাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) মাধ্যমে আবারো পরীক্ষা নেয়। সে পরীক্ষায় ৮৫ জন কর্মকর্তা অনুত্তীর্ণ হলে তাদের অব্যহতি দেওয়া হয়। তবে তারা আদালতের নির্দেশে আবারো চাকরিতে যোগ দেন। বর্তমানে তাদের অনেকে জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পদেও পদোন্নতি পেয়েছেন।
ওই কর্মকর্তারা বরাবরই আওয়ামী লীগের সন্দেহের ভেতর ছিলেন। ২০১০ সালের ৯ জুন জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে দাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বিতর্কিত ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তার ওপর নজর রাখছে সরকার। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয়করণ করেছিলো বিএনপি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলো। তারা মামলা করে চাকরি ফিরে পেয়েছেন। আমরা তাদের দিকে নজর রাখছি। তাদের কেউ নির্বাচন প্রভাবিত করতে চাইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দিপু মনি ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকও ছিলেন।
আগামী ২২ মার্চ থেকে দেশের নির্বাচন উপযোগী ইউপিগুলোর নির্বাচন শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। এবার ছয় দফায় প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউপির ভোটগ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৬
ইইউডি/এএসআর
** ‘নিরপেক্ষতার নামে ক্ষমতাসীনদের প্রতি খড়্গহস্ত ইসি’