লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনের গণসংযোগকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
এতে আহত হয়েছেন বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মোসলেহ উদ্দিনসহ উভয়পক্ষের ১২ জন।
শুক্রবার (১১ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিম পাড়া ও চার নম্বর ওয়ার্ডের ফাজিল বেপারীরহাট বাজারে এ সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
বাকি আহতরা হলেন-বিএনপি কর্মী হুমায়ুন কবির (৪৬), এমরান হোসেন (১৮), আবদুর জাহের (৩৫), তুহিন (৩৬) ও মেজবাহ উদ্দিন (৩৫) এবং আওয়ামী লীগ সমর্থক আবদুল আহাদ পলাশ (২৫), মো. রাজু (১৮), নাছির উদ্দিন (২৪), আনোয়ার হোসেন (২২) ফয়েজ আহাম্মদ (৫৫) ও মো. রফিকুজ্জামান বেলাল (২২)।
এদের মধ্যে মেজবাহ উদ্দিনকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ও নয়জনকে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপি সমর্থিত ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মোসলেহ উদ্দিন ও আওয়ামী লীগের সমর্থক রফিকুজ্জামান বেলাল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির আহাম্মদ বলেন, গণসংযোগ করার সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের বেশ ১২ জন আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
মোসলেহ উদ্দিন জানান, দুপুরে কর্মীদের নিয়ে সাত নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী গণসংযোগ করছিলেন তিনি। এসময় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর লোকজন তাদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। পরে ফাজিল বেপারীরহাট বাজারে তার নির্বাচনী কার্যালয়েও হামলা চালান তারা। এতে তিনিসহ ছয়জন আহত হন।
পাল্টা অভিযোগ করে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সল আহমেদ রতন বলেন, বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজন সাত নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী গণসংযোগ করার সময় আমার বিরুদ্ধে খারাপ মন্তব্য ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করায় স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৬
এসআই