বরগুনা: বরগুনার বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুব আলম সুজনের নির্বাচনী গণসংযোগে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ কর্মীরা। এসময় তাকে একটি ঘরের মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের ছোটমোকামিয়া গ্রামে চৌকিদার বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- বেতাগী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিনা বেগম, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি নান্না খান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ খান, বিএনপির কর্মী মাইনুদ্দিন, মিরাজ মুন্সি, শাহ আলম হাওলাদার, ফিরোজ হাওলাদার, মোস্তফা হাওলাদার, সোহাগ মুন্সি, শাওন, আনোয়ার, দেলোয়ার, মাসুদ খলিফা ও হাবিব মুন্সি।
আহতদের মধ্যে মাইনুদ্দিনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুব আলম সুজন বাংলানিউজকে বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে আমি আমার কর্মীদের নিয়ে ছোট মোকামিয়া চৌকিদার বাড়িতে নির্বাচনী প্রচারণায় ঢুকলে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাই পান্নু গাজী এক থেকে দেড়শো লোকজন নিয়ে চারপাশ থেকে ঘেরাও করে আমাদের ওপর হামলায় চালায়। এসময় আমরা কোন উপায়ন্তর খুঁজে না পেয়ে স্থানীয় শাহিন নামে এক মোটর সাইকেল চালকের বাসায় আশ্রয় নেই। সেই ঘরে প্রায় দুই ঘণ্টা আমাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
তিনি আরো বলেন, শুধু প্রার্থীর ভাই নন একপর্যায়ে প্রার্থী নিজেও ২০ থেকে ৩০ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে আমাদের ওপর হামলা করেন। পরে বেতাগী থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আমার ১৪ জন কর্মী আহত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নফিছুর রহমান চুন্নু এ অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, সুজনের লোকজন আমার ভাই জুয়েল গাজীর ওপর প্রথমে হামলা চালালে আমার সমর্থকেরা তাদের ঘেরাও করে রাখে। আমার ভাই আহত হয়ে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।
এ বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক বাংলানিউজকে বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৬
আরএ