খুলনা: খুলনা সিটি করপোরেশনের বহিষ্কৃত মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনিসহ ৬ জনের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৬ মার্চ) বিকেলে খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিম এম এল বি মেছবাহ উদ্দিন আহমেদের আদালত এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
অন্য যাদের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত তাদের মধ্যে আছেন- খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ গাউছুল আজম গাউছ, ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কে এম হুমায়ূন কবীর, মো. শাহীন ও মো. গাউছ। এ চারজনই বিএনপি নেতা। এছাড়াও ছাত্রশিবির খুলনা মহানগর শাখার সাবেক সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজীর মালামালও ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত।
অভিযোগপত্র দাখিল হওয়ার পর আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও তারা আদালতে আত্মসমর্পণ না করায় আদালত অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন বলে জানান আদালতের সরকারি রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তা (জিআরও) উপ-পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার দাস।
জিআর মামলার এজাহারের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর খুলনা মহানগরীর পাওয়ার হাউজ মোড়ে বিএনপিসহ ২০দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অনুকূল চন্দ্র ঘোষ বাদী হয়ে বিএনপি-জামায়াতের ৪৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও আড়াইশ’ জনকে আসামি করে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার দায়ের করেন। গত বছরের ৩০ এপ্রিল খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাপস কুমার পাল মেয়র মনিরুজ্জামান মনিসহ ৫২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
গত বছরের ২২ নভেম্বর ওই ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এর আগে ০২ নভেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনিকে বরখাস্ত করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৬
এমআরএম/এএসআর