সিরাজগঞ্জ: হাইকোর্টের রায়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন স্থগিত হওয়াকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যানের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে।
এছাড়া বর্তমান চেয়ারম্যানের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকরা।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে ১০ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে কড্ডার মোড় এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ওই ইউপির সদস্য প্রার্থী আব্দুল মমিন, সিরাজুল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের পরিচয় জানা যায়নি।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
সয়দাবাদ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সৌপ্তিক আহম্মেদ মিঠু জানান, ইউনিয়নের সীমানা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। এ নিয়ে পরিষদের সদস্যরা রেজুলেশন করে সম্প্রতি উচ্চ আদালতে রিট করেন। শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাচনে স্থগিতের আদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসে আসে। এ খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী নবিদুল ইসলাম ও তার সমর্থকেরা কড্ডার মোড়ে তার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে।
এ সময় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর সঙ্গে নবীদুলের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয় বলে তার দাবি।
তবে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী নবীদুল ইসলামের দাবি, নির্বাচন স্থগিত হওয়ার খবরে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা চালায়। কিন্তু চেয়ারম্যানের বাহিনী পাল্টা আক্রমণ করলে ১০ জন আহত হয়।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন থেকে তিন মাসের জন্য সয়দাবাদ ইউপি নির্বাচন স্থগিতের কথা জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৬
এসআর