লক্ষ্মীপুর: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো সম্পদ নেই। তবে যেটুকু আছে তা ময়মনসিংহের এক রিকশাচালকের দান করা।
তিনি বলেন, তার (প্রধানমন্ত্রী) সম্পদের সঙ্গে পৃথিবীর অন্য কোনো সম্পদের তুলনা চলবে না। কারণ বঙ্গবন্ধু কন্যার সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে জনগণের হৃদয় উজাড় করা ভালোবাসা।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদী ভাঙনকবলিত কলননগর উপজেলায় মাতাব্বরহাট এলাকায় নদীভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণকাজ পরিদর্শনে এসে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হতাশার অন্ধকার কাটিয়ে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। ১৬ কোটি মানুষের এই দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সঞ্চয় প্রায় সোয়া ২ লাখ কোটি টাকা। বিএনপি-জামায়াতের আমলে সর্বোচ্চ বাজেট ছিলো ৬৯ হাজার কোটি টাকা। শেখ হাসিনার সময়ে বাজেট ৩ লাখ কোটিতে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে দুইটা ম্যাজিক আছে। একটি হলো এদেশের মানুষ। তারা যেকোনো সংগ্রাম-লড়াইয়ে ভয় পায় না। যে কোনো প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়তে পারে। অপর ম্যাজিক হলেন শেখ হাসিনা। অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য তিনি আমাদের নেতৃত্ব হাতে নিয়েছেন। তার পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
নদীভাঙন রোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নদী ড্রেজিংয়ের ব্যাপারে মহাপরিকল্পনা চলছে। দেশের ৮টি উপজেলাকে দুর্গত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, এর মধ্যে কমলনগরও রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন, রামগতি উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ, কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ শামছুল আলম, কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদার, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ নেতা কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম নুরুল আমিন মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রাজু ও স্থানীয় সাহেবেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল খায়ের প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৬
এসআর
** মেঘনাপাড়ে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন