আইইবি প্রাঙ্গন (রমনা) থেকে: বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য শুভকামনা করেছেন বিদেশি অতিথিরা।
তারা বলেছেন, এ দেশ অপার সৌন্দর্যের আধার ও বিপুল সম্ভাবনার।
শনিবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কাউন্সিলে শুভেচ্ছা বক্তব্যে তারা এসব কথা বলেন।
কাউন্সিল মঞ্চে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য শারম্যান বেনজ্যাক বলেন, বাংলাদেশের মানুষ চমৎকার। তারা মুক্তিকামী। দেশপ্রেমিক মানুষ চাইলে এখানে গণতন্ত্র চির অক্ষুন্ন থাকবে। নিজেদের চাওয়াগুলোতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট সদস্য বিল বেনিয়ন বলেন, এদেশের উজ্জ্বল ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করবে। তারা দেশ গড়বে। সম্ভাবনাময় এ দেশটিকে জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই এগিয়ে নিতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বারবারা মোর বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামটি উজ্জ্বল। তার আদর্শে চলে আপনারা দেশকে এগিয়ে নিতে পারেন।
কাউন্সিল সকাল ১০টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও খালেদা মঞ্চে আসেন পৌনে ১১টায়। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে তিনি কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন।
এরপর দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সঙ্গীত, দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন হয়। বেলা ১১টায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে কাউন্সিলের মূল পর্ব শুরু হয়।
দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বক্তব্যে দেশের গণতন্ত্রে দলের প্রধান খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অবদানের কথা তুলে ধরেন। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বর্তমান সরকারের পতন কামনা করেন তিনি।
তার বক্তব্য শেষে বিদেশি অতিথিরা শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। ইংল্যান্ড, আমেরিকাসহ কয়েকটি দেশের শুভাকাঙ্ক্ষীরা কেউ নিজে এসেছেন, আর কেউ মেইলে শুভকামনা জানিয়েছেন বলে মঞ্চের ঘোষণায় বলা হয়।
অতিথিরা বাংলাদেশকে অপূর্ব সৌন্দর্যের আধার বলে বর্ণনা করেন। এদেশের মানুষ, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের চিরস্থায়িত্ব কামনা করেন তারা।
কাউন্সিলের প্রথম পর্বটি সঞ্চালনা করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নির্বাহী কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৬
এসকেএস/পিসি/এএসআর