ফুলপুর, ময়মনসিংহ থেকে: ‘আমরা গরিব মানুষ। কষ্ট করমু।
ভোটের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বাংলানিউজকে কথাগুলো বলছিলেন খোদেজা আক্তার। বয়স তার পঞ্চাশের কোটায়।
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ভাইটকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নারিকেলি দাখিল মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টায় ভোট দিতে অপেক্ষা করছিলেন খোদেজা।
প্রথম দফার ইউপি নির্বাচনে ফুলপুরের ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোটগ্রহণ চলছে।
ভাইটকান্দি ইউনিয়নের দারুয়ারি গ্রামে বাড়ি খোদেজার। গৃহস্থালির কাজকর্ম শেষ করে সকাল দশটার দিকে এসেছেন ভোটকেন্দ্রে। প্রখর খরতাপ সত্ত্বেও তার চোখে-মুখে বিরক্তি নেই।
তার পাশের লাইনেই দাঁড়ানো সাজেদা খাতুন (৪০) বলেন, ‘টাকা-পয়সা প্রার্থীরা দিবার চাইছিল। নেই নাই। যোগ্য লোক দেইখ্যাই তো ভোট দিমু। যে ভালো লোক, আমগর কাজ-কাম কইরা দিবো, তেমন প্রার্থীরেই ভোটখানা দিমু। নইলে পরে পস্তাইন লাগবো’।
এ ভোটকেন্দ্রে নারী ভোটারদের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে। তবে পুরুষ ভোটারদের লাইনে তেমন কোনো ভিড় নেই।
দারুয়ারি গ্রামেরই অন্য নারী ভোটার মমতাজ বললেন, ‘যোগ্য-অযোগ্য বুঝি না। এলাকার প্রার্থীরেই ভোট দিতে হইবো। আমার স্বামী কইয়া দিছে। এলাকার ইজ্জত রাখতে হইবো’।
তবে মমতাজের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করলেন শাহানা। স্থানীয় একটি কলেজে পড়েন তিনি। বললেন, ‘ভোট নিজের পছন্দমতোই দিবো। কারো কথায় কান দিবো না’।
নারিকেলি দাখিল মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আতিকুল্লাহ হায়দার জানান, এ ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার ১০৬৫ জন। সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এখানে ভোট চলছে। উৎসবের আমেজে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন ভোটাররা। ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।
উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণের একই চিত্র দেখা গেছে পয়ারি ইউপি নির্বাচনেও। পয়ারি গোকুল চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় ও পয়ারি সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রেও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা।
বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘন্টা, মার্চ ২২, ২০১৬
এএসআর