ঢাকা: ‘প্রহসনের নির্বাচন’ করতে সরকার দেশে নির্বাচনী প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) জিয়া পরিষদের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিতে এসে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, সরকার দেশে প্রহসনের নির্বাচন করছে। অনেকে এটাকে ইলেকশন প্রজেক্ট আখ্যা দিচ্ছেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে তারা ইউপি নির্বাচন দেখিয়ে জনগণ ও বিশ্ববাসীকে বোকা বানাতে চায়। কিন্তু জনগণ ও বিশ্ববাসী সহজে বোঝেন, সরকার তাদের ক্ষমতাকে টিকিয়ে ও অব্যাহত রাখার জন্য বেআইনি, অনৈতিকভাবে জবর দখল করে ক্ষমতায় বসে আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা ছাড়া বিএনপির সামনে বিকল্প কোনো পথ নেই। বিএনপি কোনো বিপ্লবী দল নয়, গণতান্ত্রিক দল। সে কারণে ইউপিসহ সব নির্বাচনে অংশ নিতে চায়, নিচ্ছে।
‘প্রশাসন সহযোগিতা করছে না, কোথাও কোনো গোলযোগ হলে পুলিশ দায়ী থাকবে’-প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এমন উক্তি উল্লেখ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, বিএনপি প্রথম যখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেয় তখন থেকে এ কথা বলে আসছে। সহিংসতার মধ্য দিয়ে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী, অযোগ্য নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে তারা ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি ও ফলাফল তাদের পক্ষে নিয়ে যাবেন। তারপরও বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে এসব নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
ফখরুল বলেন, নির্বাচনগুলোতে নেতাকর্মীরা আগ্রহের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন। একই সঙ্গে সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা ত্রাসের সৃষ্টি করে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ফলাফল ছিনিয়ে নিচ্ছে, সেখানেও সরকারের মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে।
ফখরুল বলেন, সরকার তথাকথিত গণতন্ত্রের যে মুখোশ ধরে আছে তা উন্মোচিত হচ্ছে। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই প্রতিটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশ নিতে চায়। দলীয় সরকার, দলীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে কখনো কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কখনো প্রার্থীহীন নির্বাচন হয়নি। এবার প্রথম প্রায় ৯৬টি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন হয়ে গেছে। তাহলে বুঝতে পারেন আগে থেকেই কিভাবে কাজগুলো হয়েছে।
সম্প্রতি ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় পৌরসভার নির্বাচনে আগের রাতেই সব ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৬
আরইউ/জেডএস