ঢাকা: সোমবার (২৮ মার্চ) জামায়াতের ডাকে দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে এক ধরনের অজানা।
রাজধানীর আগারগাঁও তালতলার দোকানি মালা (২৮)। প্রতিদিনের মতো সকাল ৭টায় দোকান খুলেছেন তিনি। বেচা-বিক্রিতেও তেমন কোনো ভাটা নেই।
হরতালের প্রভাব সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মালা বাংলানিউজকে বলেন, হরতালের ডরে মানুষ কম আহে। তয় কী কারণে হরতাল কইতে পারি না। সকালে আইসা জানতে পাইছি হরতাল।
মালার দোকান থেকে সিগারেট কিনছিলেন জয়াযাত্রা পরিবহনের সুপারভাইজার রাকিব হোসেন। মালার সঙ্গে হরতালের প্রভাব নিয়ে কথা বলার সময় আগ বাড়িয়ে তিনি প্রশ্ন করলেন, আইজকা হরতাল নাকি? ডাক দিলো কারা?
সোমবার সকাল ৬টা থেকে এ হরতাল শুরু হয়। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। সংবিধান থেকে ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেওয়ার চক্রান্তের’ প্রতিবাদে রোববার (২৭ মার্চ) বিকেলে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপিতে এ হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান।
তবে হরতালের বিষয়টি অনেকের কাছেই অজানা। নগরীর সব কিছুই চলছে স্বাভাবিকভাবে। তালতলার সামির টি স্টলও সকাল ৭টায় খোলা হয়েছে। বেচাকেনায়ও কোনো প্রভাব পড়েনি। নগরীতে সব ধরনের যানবাহন চলাচলও স্বাভাবিক দেখা গেছে।
হরতাল স্বল্প আয়ের মানুষদেরও ঘরে বন্দী রাখতে পারেনি। প্রতিদিনের মতো আজও তারা কর্মস্থলে বের হয়েছেন।
রিকশাচালক সাইদুল। শেরে বাংলানগর বিএনপি বাজারে থাকেন। সকাল ৭টায় রিকশা নিয়ে বের হয়েছেন। দুই ঘণ্টায় আয় করেছেন ১২০ টাকা।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সকাল ৭টায় বারাইচি, হরতাল কই বুঝতে পারলাম না তো! বার হইয়া দুই ঘণ্টায় ১২০ ট্যাকা খ্যাপ মারছি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৬
এমআইএস/আরএম