ঢাকা: সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ১৮টি দল অংশ নিয়েছে। এতে স্থগিত কেন্দ্রগুলো বাদে ভোট হয়েছে ৭০০ ইউপিতে।
গত ২২ মার্চের ওই নির্বাচনের ফলাফল সমন্বয় করে একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, জাতীয় পার্টি-জেপি ৭টি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৫২৬টি (বিনা প্রদ্বিন্দ্বিতায় নির্বাচিতসহ), বিএনপি ৫০টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ২টি, জাতীয় পার্টি ২টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ৩টি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ১টি ইউপিতে জয়লাভ করেছে। এছাড়া, স্বতন্ত্র থেকে ১০৯ জন প্রার্থী জয় পেয়েছেন।
যে দলগুলো একটি আসনও পায়নি এর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ন্যাপ আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ)।
এছাড়া, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ছাড়া কোনো দলই ১ শতাংশ ভোটের কোটা ছাড়াতে পারেনি।
এ নির্বাচনে ৭৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। যেখানে ৭৭ লাখ ৬৬ হাজার ৯২৬টি ভোট বৈধ হয়েছে। বাতিল হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৬২টি ভোট, যা প্রদত্ত ভোটের ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
প্রথম ধাপের ৭২৩টি ইউপির মধ্যে ১টিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় আবার নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ২২ মার্চের ভোটের দিন নির্বাচনী অনিয়মের কারণে ৬৫টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন। যে কারণে সংশ্লিষ্ট ২২টি ইউপির ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। ২২ ইউপির স্থগিত ওই কেন্দ্রগুলোতেও পুনরায় ভোটগ্রহণ করা হবে। এসব বাদে সবমিলিয়ে ৭০০ ইউপির ফলাফলই চূড়ান্ত আকারে প্রকাশে করেছে ইসি।
এবার ছয় ধাপে দেশের নির্বাচন উপযোগী প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউপির ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩১ মার্চ দ্বিতীয় পর্যায়ের ৬৪৩ ইউপিতে ভোট হবে। এরপর আরও চার ধাপে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৫ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৬
ইইউডি/এইচএ/