খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের তিন নেতা জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
নেতারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী ও আওয়ামী লীগ নেতা শানে আলম।
সোমবার (২৮ মার্চ) রাতে কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া ও নির্মলেন্দু চৌধুরী এবং মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকালে শানে আলম জিডিগুলো করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা আমার অফিসে ভাঙচুর করেছে, রাতে আমার বাসায় গিলে হামলা ও ভাঙচুর করেছে। এছাড়া, আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছি।
সদ্য শেষ হওয়া পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করা শানে আলম জিডিতে উল্লেখ করেন, পৌর নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালীন কুমিল্লাটিলা এলাকায় পৌর মেয়র রফিকুল আলম আমার ওপর হামলা চালান। এ ঘটনায় একটি মামলা করেছি। তখন থেকে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন তিনি।
২৭ মার্চ রাতে রফিকুল আলম সরাসরি হত্যার হুমকি দেন। ২৮ মার্চ পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আলম অটো রাইস মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়। মিল খুললে হত্যা ও পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সোমবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মনির হোসেন খানের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। শহরের ভাঙাব্রিজ এলাকায় তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। তিন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন।
খাগড়াছড়ির সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রইছ উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, জেলার সার্বিক পরিস্থিতি কিছুটা অবনতি হয়েছে। নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আসামিদের ধরতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সদ্য শেষ হওয়ার পৌর নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাময়িকভাবে বহিষ্কার হন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলমসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। তাদের বিরুদ্ধে বর্তমান মেয়র রফিকুল আলমের পক্ষে কাজ করার অভিযোগ উঠে। রফিকুল আলম সম্পর্কে জাহেদুল আলমের ছোট ভাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৬
এমজেড