কক্সবাজার: পেকুয়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ)। ওইদিন সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ৭ ইউপির ৬৩টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ভোটাররা।
জেলা নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, পেকুয়া সদর, শীলখালী, রাজাখালী, মগনামা, উজানটিয়া, টৈটং ও বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার। এ ৭টি ইউপিতে ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ২৪৫ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫২ হাজার ৪৫২ জন এবং মহিলা ভোটার ৪৮ হাজার ৭৯৩ জন। এইসব কেন্দ্রে স্থায়ী ভোটকক্ষের সংখ্যা ২৯১টি এবং অস্থায়ী ৬৩টি। এর মধ্যে ২১টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পেকুয়া সদর ইউনিয়নে মোট ভোটার হচ্ছে ২৬ হাজার ৫৪৫ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৩ হাজার ৫৬১ জন এবং মহিলা ভোটার ১২ হাজার ৯৮৪ জন। এখানে ৯টি ভোটকেন্দ্রে স্থায়ী ভোটকক্ষের সংখ্যা ৭৬টি এবং অস্থায়ী ৬টি। এর মধ্যে মইয়াদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পেকুয়া জিএমসি ইনস্টিটিউশন, আনোয়ারুল উলুম আলিম মাদ্রাসাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
শীলখালী ইউনিয়নে মোট ভোটার ৯ হাজার ২১৮ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৭০৯ জন এবং মহিলা ৪ হাজার ৫০৯ জন। এখানে ৯টি ভোটকেন্দ্রে স্থায়ী ভোটকক্ষ ২৬টি এবং অস্থায়ী ৭টি। এ ইউপির পেঠান মাতবরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাজিরঘোনা ভোটকেন্দ্রকে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়েছে।
রাজাখালী ইউনিয়নে ১৫ হাজার ৪৪০ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৮ হাজার ২০০ জন এবং মহিলা ৭ হাজার ২৪০ জন। ৯টি ভোটকেন্দ্রে স্থায়ী ভোটকক্ষ ৪৪টি এবং অস্থায়ী ৮টি। ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বিইউআই মাদ্রাসা কেন্দ্র, বদিউদ্দিন পাড়া এবতেদায়ি মাদ্রাসা কেন্দ্র, লালজানপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাতবরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রকে।
মগনামা ইউনিয়নে ভোটার ১৩ হাজার ১৮৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬ হাজার ৮৯৮ জন এবং মহিলা ৬ হাজার ২৮৯ জন। ৯টি ভোটকেন্দ্রে স্থায়ী ভোটকক্ষ ৩৮টি এবং অস্থায়ী ১০টি। এ ইউনিয়নে সাতঘরপাড়া কমিউনিটি সেন্টার ও দক্ষিণ মগনামা কাশেমুল উলুম মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
উজানটিয়া ইউনিয়নে মোট ভোটার ৮ হাজার ৭১৯ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৫১৭ জন এবং মহিলা ৪ হাজার ২০২ জন। ৯টি ভোটকেন্দ্রে স্থায়ী ভোটকক্ষ ২৬টি এবং অস্থায়ী ১২টি। এখানে তিনটি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে স্থানীয় লোকজন ও ভোটাররা চিহ্নিত করেছেন। কেন্দ্রগুলো হলো পশ্চিম উজানটিয়া জুনিয়র হাইস্কুল, জালিয়াপাড়া ইফাত শেল্টার কেন্দ্র ও মধ্যম উজানটিয়া ভেলুয়ারপাড়া কারিতাস শেল্টার ভোটকেন্দ্র।
টৈটং ইউনিয়নে ভোটার ১৬ হাজার ৫৬৯ জন। পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ৫৮২ জন এবং মহিলা ভোটার ৭ হাজার ৯৮৭ জন। এখানে ৯টি কেন্দ্রে স্থায়ী ভোটকক্ষ ৪৭টি এবং অস্থায়ী ১১টি। চারটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হল বনকানন মাদ্রাসা কেন্দ্র, জালিয়ারচাং মাদ্রাসা কেন্দ্র, নাপিতখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শেয়ার আলী মাস্টারপাড়া ভোটকেন্দ্র।
বারবাকিয়া ইউনিয়নে মোট ভোটার হচ্ছে ১১ হাজার ৫৬৭ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ৯৮৫ জন এবং মহিলা ভোটার ৫ হাজার ৫৮২ জন। এখানে ৯টি ভোটকেন্দ্রে স্থায়ী ভোটকক্ষের সংখ্যা ৩৪টি এবং অস্থায়ী ভোটকক্ষের সংখ্যা ৯টি। এর মধ্যে সবজীবনপাড়া, মৌলভীবাজার ফারুখিয়া মাদ্রাসা ও বারাইয়াকাটা ফাজিল মাদ্রাসাকে বারবাকিয়া ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ ।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন বাংলানিউজকে জানান, পেকুয়া উপজেলার প্রতিটি কেন্দ্রেই আইনশৃঙ্খলা কঠোর অবস্থানে থাকবে। পেকুয়ার ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে দায়িত্ব পালন করবেন একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ছয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এদের নেতৃত্বে প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে ৮জন পুলিশ ও ১০জন আনসার সদস্য। এছাড়া মোবাইল টিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ৪ প্লাটুন বিজিবি ও ৪ প্লাটুন র্যাব।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৬
টিটি/আইএসএ/টিসি