ফরিদপুর: কেউ বলে ২০১৯ সাল, কেউ আবার বলে ২০৪০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে আওয়ামী লীগ। এসব কথা বলে কোনো লাভ হবে না।
বুধবার (৩০ মার্চ) ফরিদপুর শহরের অম্বিকা হলে বিএনপির প্রায়ত মহাসচিব মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কে এম ওবায়দুর রহমানের নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহ জাফর বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক ছিলাম। সে সময় একদফা এক দাবিতে স্লোগান দিয়েছি, ‘এক নেতার এক দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। সেই ঐক্যবদ্ধ দেশে বঙ্গবন্ধুও বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেননি।
তিনি বলেন, সেখানে বর্তমান ‘বিনা ভোটে নির্বাচিত’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাতো ‘খুন আর গুম করে’ ক্ষমতায় টিকে আছেন। এভাবে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা যায় না। শেখ হাসিনার দিনও ঘনিয়ে আসছে।
কে এম ওবায়দুর রহমান স্মরণে তিনি বলেন, আজ রাজনীতি মানে লুটপাট, ব্যাংক লুট, খুন-গুম, অর্থের লালসা। কিন্তু কে এম ওবায়দুর রহমান ছিলেন এর উর্দ্ধে। তার রাজনীতি মানে জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে নীতি-আদর্শের মস্তক উঁচু করে রাখা।
এমন নেতাকে আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ দেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিৎ শ্রদ্ধা জানানো। তাকে আদর্শ হিসেবে অনুসরণ করা।
স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফরিদপুর জেলা আহবায়ক জুলফিকার হোসেন জুয়েলের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান মুছা, জেলা বিএনপির সাহিত্য সম্পাদক আশরাফ হোসেন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক নেতা শওকত আলী, জেলা তাঁতিদলের আহবায়ক মাহমুদ কলি, কোতোয়ালি থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ সরদার বাবু।
বিএনপি নেতা সিদ্দিকুর রহমান মোল্যা, শামসুল আরেফিন সাগর ও লোকমান হোসেন সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতে কে এম ওবায়দুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শেষে তার বিদেহি আত্মার মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৬
আরকেবি/এএসআর