ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
বুধবার (মার্চ ৩০) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রোলবোমা হামলার ঘটনায় একটি মামলায় খালেদা জিয়াসহ ২৮ বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা এ পরোয়ানা জারি করেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রিজভী আহমেদ বলেন, সরকার নিজেদের পতনের শব্দ শুনতে পাচ্ছে। সে কারণে সরকার এসব ষড়যন্ত্রের পথ তৈরি করছে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই রাজনৈতিক, বানোয়াট, মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে আগেও দুর্বল করতে পারে নি। ভবিষ্যতেও পারবে না। যাত্রাবাড়ী থানায় যখন মামলা হয় তখন খালেদা জিয়াকে সরকার বালির ট্রাক দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলো। কাউকে তার সাথে দেখা করতে দেয়া হয়নি। তাহলে তিনি কিভাবে বোমা মারার হুকুম দিলেন। তাছাড়া সরকার
গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য বিভিন্ন বাহিনী,ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ দিয়ে বোমা মারিয়েছে। যা তখন বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। বিএনপির এই নেতা বলেন, অদ্ভুত এই সরকারের আচরণ। ১৯ মার্চ সফলভাবে আমাদের দলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাউন্সিলররা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দলের নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষমতা দেয়। মহাসচিব পদে খালেদা জিয়ার মনোনীত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নাম ঘোষণার পরপরই তার জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন,সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক গাজী মাজাহার আনোয়ার, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, জাসাসের সভাপতি আব্দুল মালেক, কণ্ঠ শিল্পী বেবী নাজনীন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৬
আরআই