নাটোর: দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় নাটোরের লালপুর উপজেলার দু’টি কেন্দ্রে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন ১১ জন।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে লালপুরের লালপুর ইউনিয়নের বাকনাই এবতেদায়ি মাদ্রাসা কেন্দ্রে ও আড়বাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ১০ জনকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আহত অপরজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল আজিজের দাবি, তিনি দুপুর ১টার দিকে কদমচিলান এলাকায় গেলে আওয়ামী লীগ কর্মীরা তাকে ধাওয়া করে ও তার গাড়ি ভাঙচুর করে।
প্রত্যক্ষদর্শী আবু জেহেল বাংলানিউজকে জানান, দুপুর দেড়টার দিকে লালপুর ইউনিয়নের বাকনাই এবতাদায়ি মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোটারদের নম্বর দেওয়াকে কেন্দ্র সদস্য পদপ্রার্থী আব্দুল হান্নান ও ইউসুফ আলীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় নারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হন।
আহতরা হলেন- বাকনাই গ্রামের আশরত আলীর ছেলে আকতার হোসেন (৪৬), একই গ্রামের মাখন আলী (৫০), মালেক হালসানা (৫৫), মালেকের স্ত্রী ঝরনা বেগম (৫০), মনিরুলের স্ত্রী আজমিরা বেগম (৪০), মৃত আবু তাহেরের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (২৬) ও মৃত জমসেদ আলীর ছেলে জুয়েল রানা (৩০)।
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্সী সাহাবুদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল দু’টিতে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
অন্যদিকে, আড়বাব ইউনিয়নের আড়বাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় বিএনপির কর্মী জহুরুল ইসলাম, তার ছোট ভাই বিপ্লব (৪৫), রেন্টু (৪৭) ও বোন মিতা (৪০) আহত হন। সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত জহুরুল বাংলানিউজকে বলেন, সকালে আমরা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসহাক আলীর সমর্থকরা বাধা দেন। এনিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা আমাদের পিটিয়ে আহত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৬
এসআই