ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নির্বাচন বর্জনের হুঁশিয়ারি বিএনপির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৬
নির্বাচন বর্জনের হুঁশিয়ারি বিএনপির ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে পরবর্তী চার ধাপের নির্বাচন বর্জনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি।

 

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বিকেলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দলটির যুগ্ম-মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান এ হুঁশিয়ারি দেন।

সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে এসে বিএনপির এ নেতা সাংবাদিকদের বলেন, গত ২২ মার্চের প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচন ও আজকের নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি। এমন চলতে থাকলে আমরা সামনে যে চার ধাপের নির্বাচন আছে, তা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিতো বাধ্য হবো।

সিইসির সঙ্গে সাক্ষাতে নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ করেছেন জানিয়ে শাহজাহান বলেন, আমাদের অভিযোগের জবাবে সিইসি বলেছেন, সামনের নির্বাচনগুলো আরও সুন্দর হবে। কিন্তু আমরা বলেছি, আপনি আগেও এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু রক্ষা করতে পারেননি। কাজেই এই দুই ধাপের নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় ভোট করুন। অথবা তৃতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করুন।

ভোটগ্রহণ শেষেই বিএনপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করে। বৈঠক শেষে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিএনপির প্রতিনিধিরা। প্রতিনিধি দলে শাহজাহান ছাড়াও ছিলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন (অব.) সুজাউদ্দীন ও সহ-প্রচার সম্পাদক ইমরান সালেহ প্রিন্স।

মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ভোটের আগের রাত ১২টার পর থেকেই সিল মারা শুরু হয়। শুধু মানুষের রক্ত ঝরে, প্রাণ যায়। এ নির্বাচনের মানে কী?

তিনি বলেন, এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ব্যাপক অ্যাকশন নিতে হবে। কেবল একজন এসপিকে ভৎর্সনা করলে হবে না।

বিএনপির এ নেতা বলেন, সিইসির ক্ষমতা যে আছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার ভূমিকা দেখি না। প্রশাসন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের কাছে তিনি অসহায়। কারণ তারা সবাই একাট্টা হয়ে কাজ করছে। নির্বাচন কমিশন কোনো সফলতা দেখাতে পারেনি। তারা ব্যর্থ হয়েছে।

শাহজাহান বলেন, আমরা নির্বাচনে এসে তাদের সুযোগ করে দিয়েছিলাম গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টির। কিন্তু সরকার ও ইসি সে সুযোগ গ্রহণ করেনি। তাই গত দু‘টো নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় করেন। আগামী যে নির্বাচন আছে, সেটা সুষ্ঠুভাবে করেন। এর উপর নির্ভর করবে সামনের ধাপগুলোতে আমরা থাকবো কী থাকবো না।

দেশের সাড়ে চার হাজার ইউপিতে এবার ছয় ধাপে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। প্রথম ধাপের নির্বাচনে অনিয়মের কারণে ৬৫টি ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে ইসি। ভোটের দিনসহ প্রথম ধাপে অন্তত ৯ ব্যক্তি নিহত হন। আর দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে অন্তত ১৮টি কেন্দ্র বন্ধ ও ৪ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দ্বিতীয় ধাপে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করেছে ইসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৬
ইইউডি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।