ঢাকা: দু’দফার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্র্যাকটিক্যালি যেটা মনে হয়েছে, দখলের মহোৎসব চলছে। সবচেয়ে বড় কথা যে, আমাদের প্রার্থীদের বাধা দিয়ে, মেরে ভুট্টাখেতে ফেলে রেখেছে।
রোববার (০৩ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন সরকারের পর্যটন ও বেসামরিক বিমান মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির প্রধান রাশেদ খান মেনন।
তিনি বলেন, নির্বাচনে এতো বাধার সম্মুখীন হয়েছি যে, তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এসেছি। কেন্দ্র দখল হচ্ছে একেবারে সবার চোখের সামনে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে বলেছি, উই উড লাইক টু কনটিনিউ। আমরা শেষ পর্যন্ত দেখতে চাই যে, এ পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু আমাদের যদি আশ্বস্ত করতে না পারেন, তবে এ কমিশনের প্রতি মানুষের কিন্তু বিন্দুমাত্র আস্থা থাকবে না। এসব কথা আমরা সুস্পষ্ট করে কমিশনকে বলেছি।
সিইসি জবাবে বলেছেন, গতবারের (প্রথমবার) চেয়ে এবার কারচুপি তেমন হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আবার কথা বলবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিমান মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে সবচেয়ে সমস্যা হচ্ছে যে, এখানে এতো বিনিময় বাণিজ্য হচ্ছে, টিকে থাকাটাই মুশকিলের ব্যাপার। তারপরও বলবো, নির্বাচন সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হোক এটাই আমরা চাই। আশা করবো, শেষ পর্যন্ত তাদের যে ক্ষমতা রয়েছে, তা তারা প্রয়োগ করে এখন থেকে ভালো করবেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, রাঙ্গামাটিতে, বান্দরবানে নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে। বাগেরহাটে করেনি, সেখানেও কিন্তু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছে।
নির্বাচন বর্জন করবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের পর আমরা মূল্যায়নে যাবো। পার্টির পলিটব্যুরোর মিটিং ডেকেছি। এ নির্বাচন কিন্তু আমাদের সংগ্রামের ফসল। বহু আন্দোলন করে এ নির্বাচন আমরা পেয়েছি। সেই নির্বাচন, তার স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা এবং নিরপেক্ষতার জন্য সংগ্রাম করেছি। একবার না। কখনো জিয়ার আমলে, এরশাদের আমলে, খালেদা জিয়ার আমলে আমরা বারবার লড়াই করেছি। এটা আমরা হারাতে দিতে রাজি না। দরকার হলে আবার লড়াই করবো।
সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি-না প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে সরকারের মন্ত্রী হিসেবে নয়, পার্টি প্রধান হিসেবে এসেছি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলাপ করেছি, সরকারের সঙ্গে নয়।
নির্বাচন কমিশনের কী পদত্যাগ করা উচিত এ প্রশ্নের জবাবে রাশেদ খান মেনন বলেন, পদত্যাগ দাবি করলে তো হচ্ছে না। আমাদের কথা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন থাকবে। আজকে হোক, কালকে হোক নির্বাচন কমিশন আসবে। সেখানে নির্বাচন কমিশনেরই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
এ সময় দলটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৬
ইইউডি/জেডএস