ঢাকা: চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে আন্দোলনরত গ্রামবাসীর ওপর গুলিবর্ষণ ও তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে গণসংহতি আন্দোলন।
দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম সোমবার (০৪ এপ্রিল) রাতে এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপ কর্তৃক অবৈধভাবে কৃষিজমি দখল করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে কৃষিজমি, অরণ্য ও পানিসম্পদ ধ্বংস করার পাঁয়তারা হচ্ছে।
এর বিরুদ্ধে আন্দোলনরত স্থানীয় জনগণের ওপর গুলিবর্ষণ করে তিনজনকে খুন এবং আরও বহু ব্যক্তিকে আহত করার প্রতিবাদ জানান তারা। অবিলম্বে এই রকম সংবেদনশীল স্থানে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো পরিবেশধ্বংসী প্রকল্প বাতিল ও দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ার দাবি করেন গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শুধুমাত্র আজকের গুলিবর্ষণকারী পুলিশ ও মাস্তানদের শাস্তি দেয়াই যথেষ্ট নয়। কেননা বাঁশখালীর মানুষ বহুদিন ধরে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছেন। তাদের বিরুদ্ধে হামলা করা হয়েছে, তাদের মিছিলে গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। ফলে এই পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশাসন আগে থেকেই অবহিত ছিলো। ফলে এই অবস্থার দায়দায়িত্ব পুলিশ, এস আলম পক্ষসহ সেখানকার ডিসি, ইউএনওকেও নিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বর্তমান সরকার জালিম রাজত্ব কায়েম করেছে। কিন্তু বাঁশখালীর মানুষ সরকার ও মাস্তান এই উভয় প্রকার নির্যাতনকে মোকাবেলা করে তাদের আন্দোলন জারি রেখে প্রমাণ করেছেন যে, বাংলাদেশের মানুষ এই জালিমদের নির্যাতন ও দখলদারিত্ব বিনা প্রতিবাদে মেনে নেবে না। ফুলবাড়ীর মানুষ যেমন রক্ত দিয়ে উন্মুক্ত কয়লাখনি প্রতিহত করে গোটা বাংলাদেশকে রক্ষা করেছেন ভয়াবহ বিপর্যয়ের হাত থেকে, তেমনিভাবেই বাঁশখালীর এই সংগ্রামী জনগণও গোটা বাংলাদেশের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৬
পিআর/এমজেএফ/