রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ): নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনের প্রচারণা নিয়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১১ এপ্রিল) মধ্যেরাতে উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের বড়ভিটা এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।
আহতদের মধ্যে বড়ভিটা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মাসুদ মিয়া (২৫), রজব আলীর ছেলে রাজু মিয়া (২২), শাহজাহান মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (২৭) ও ইলিয়াছ মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়াকে (৪০) মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত মাসুদ মিয়া ও জাহাঙ্গীর মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করছেন তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছ। আর এখানে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন আব্দুল জাব্বার।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছের সঙ্গে আব্দুল জাব্বারের দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। সোমবার রাত ১১টার দিকে বড়ভিটা এলাকায় উভয় প্রার্থীর পক্ষে তাদের কর্মী-সমর্থকরা প্রচারণায় নামেন। এসময় প্রচারণাকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে রাত ১২টার দিকে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা রামদা, চাপাতিসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামের সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে শুরু করেন।
সংঘর্ষ চলাকালে শতাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয়। সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ২০ জন। তবে, ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৬
এইচএ/