ঢাকা: পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে নিজের ছবি তোলার জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া জাতীয় সঙ্গীতকে অপমান করেছেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এস এ মালেক।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত কষ্ট পেয়েছি, আপনারা এতো লোক আলোচনা করেছেন, অথচ পহেলা বৈশাখে খালেদা জিয়া বিএনপি কার্যালয়ে জাতীয় সঙ্গীত চলাকালে নিজের ছবি ভালোভাবে তোলার জন্য সামনের নেতাকর্মীদের বসিয়ে দিয়েছেন, এ কথাটি আপনারা কেউ বললেন না’।
মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু পরিষদ।
এস এ মালেক বলেন, ‘জাতীয় সঙ্গীত চলাকালে বিএনপির সিনিয়র নেতারা ক্যামেরার সামনের লোকদের বলেছেন, ছবি দেখা যাচ্ছে না আপনারা বসুন। আর খালেদা জিয়া ছবি তোলার জন্য দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সে দৃশ্য দেখেছেন’।
বিএনপি নেতাদের তিরস্কার করে অাওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতা বলেন, ‘ছিঃ ছিঃ খালেদা আপনি কিভাবে এই কাজটা করেছেন? জাতীয় সঙ্গীতকে অপমান করেছেন’।
তিনি বলেন, ‘আর এই খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মৌলবাদী শক্তির উত্থান তো হবেই। তার নেতৃত্বে এ দেশে মৌলবাদ জঙ্গিবাদী শক্তির উত্থান হচ্ছে’।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ইব্রাহীম খালেদ বলেন, ‘গত বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমাদের দেশের প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ হয়েছে, তা হবে। ১৯৭২ সালে এ দেশে প্রবৃদ্ধি ছিলই কম। আমরা তখন গরিব ছিলাম। তবে তখন ব্যবধান কম ছিল। আর এখন প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, সঙ্গে সঙ্গে ব্যবধানও বেড়েছে অনেক’।
তিনি বলেন, ‘আজ সমাজে যে মানসিক অবক্ষয় হচ্ছে। মা সন্তানকে হত্যা করছে, হত্যা-খুনোখুনি শুরু হয়েছে, তার জন্য একমাত্র দায়ী বর্তমান অর্থনৈতিক বৈষম্য, পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ।
আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, মুজিবনগর সরকারের সময়ও বিশ্বাসঘাতক ছিলেন তা এখনো আছেন, আমাদের মধ্যেই থাকতে পারেন। তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। এই বিশ্বাসঘাতকরা যেন আমাদের কোনো ধরনের ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখতে হবে।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আকতারুজ্জামান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অরুণ কুমার গোস্বামী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৬
জেপি/এমআইকে/এএসআর